
রাজ্যের বিরোধী দলগুলিকেও একহাত নিয়েছেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, এ রাজ্যে সিপিএম বিজেপির হাত ধরেছে। আর কংগ্রেস দিল্লিতে বিরোধিতা করলেও এ রাজ্যে বিজেপির পাশে রয়েছে। মমতা বলেন, ‘‘আমাদের কর্মীরা জীবন হাতে নিয়ে কাজ করছেন। গুলি-বন্দুক দিয়ে রাজনীতি হয় না। এ রাজ্যে সন্ত্রাস তৈরির চেষ্টা করছে বিজেপি। মানুষের টাকা লুঠ করছে ওরা।’’ এর পরেই রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের নাম না করে মমতা হুঁশিয়ারি দেন, ‘‘কেউ কেউ বলছেন, এনকাউন্টার করবেন। আমি বলছি, আসুন, ক্ষমতা দেখান।’’
নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের মঞ্চ থেকে এ দিন বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের শাসকদলকে কার্যত ‘উগ্রপন্থী সংগঠন’ বলে কটাক্ষ করলেন তিনি। বললেন, ‘আমরা মিলিট্যান্ট অর্গানাইজেশন নই বিজেপির মতো। ওদের একটা উগ্রতা আছে। ধর্মীয় বিদ্বেষ আছে। কাউকেই পছন্দ করে না। না মুসলমান, না খ্রিষ্টান, না শিখ। হিন্দুদের মধ্যেও বিভেদ তৈরি করছে।’
নাম না করে বিজেপি নেতাদেরও উগ্রপন্থী নেতাদের সঙ্গে তুলনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ‘কেউ বলছে এনকাউন্টার করবে। কেউ বলছে গুলি চালাব। কেউ বলছে বোমা মারব। কেউ বলছে শেষ করে দেব। আমি বলি, আয় না। কত ক্ষমতা দেখা না। দেখেছিস তো পঞ্চায়েতে। গুলি বন্দুক দিল্লিতে আছো বলে। কাল যখন থাকবে না তখন কোথায় পাবে বোমা?’
বর্ধিত কোর কমিটির বৈঠকে পেট্রপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে জোরাল আন্দোলন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা৷ জানান, পেট্রপণ্যের এত দাম বৃদ্ধি হয়েছে, এলপিজির দাম বেড়েছে৷ কর্মসূচি কোথায়? দু’ একটি জেলায় কিছু কর্মসূচি হয়েছে৷ ২১ জুলাইয়ের পর এই নিয়ে জোরাল আন্দোলন করার নির্দেশ দেন৷
সামনেই লোকসভা ভোট৷ তার আগে দলের কয়েকজন নেতা কর্মীর আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা৷ নাম না নিয়েই তাদের সাবধান করে দেন তিনি৷