কেন্দ্রীয় সরকারের চারবছর পূর্তি, রাজ্য কংগ্রেস পালন করল বিশ্বাসঘাতক দিবস

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ মে৷৷ কেন্দ্রীয় সরকারের চতুর্থ বর্ষ পূর্তি পালিত হচ্ছে৷ সারা দেশের সঙ্গে রাজ্যেও এনিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হচ্ছে৷ কিন্তু, কংগ্রেস আজকের এই দিনটিকে বিশ্বাসঘাতক দিবস হিসাবে পালন করেছে৷

শনিবার প্রথমে আগরতলায় মিছিল-সভা সহ স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন এলাকায় জমায়েত সংগঠিত করেছে কংগ্রেস৷ এরপর সারা রাজ্যে অনুরূপ কর্মসূচীগুলিতে বিজেপি সরকার ক্ষমতাায় আসার পর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার প্রয়োগ নিয়ে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে তীব্র সমালোচনা করা হয়৷

বিজেপি সরকারের চার বছর পূর্তিতে সারা দেশে যখন দলের কর্মকর্তারা জাঁকজমকভাবে আজকের এই দিনটিকে পালন করছেন, ঠিক তখন ত্রিপুরা প্রদেশ যুব কংগ্রেস আজকের এই দিনটিকে বিশ্বাসঘাতক দিবস হিসেবে পালিত করেছে৷ ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি বীরজিৎ সিনহা জানিয়েছেন, আজকের এই দিনটিকে তাঁরা বিশ্বাসঘাতক দিবস হিসেবে পালন করেছেন৷ তিনি জানান, এদিন আগরতলায় মিছিল সভা সহ স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন এলাকায় জমায়েত সংগঠিত হয়৷ পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচিতে আজ ত্রিপুরা জাতীয় কংগ্রেস সকালে কংগ্রেস ভবন থেকে এক মিছিল বের করে শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে৷ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি বীরজিৎ সিনহা, প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল চন্দ্র রায় সহ আরও অনেকে৷ এরপর সভা হয়৷ সেখানে নরেন্দ্র মোদী পরিচালিত বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার বাস্তবায়ন না করা নিয়ে দীর্ঘ বক্তব্য পেশ করেন বক্তারা৷

সভায় ত্রিপুরা জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি বীরজিৎ সিনহা বলেন, কেন্দ্রে বিজেপি সরকার আসার পর থেকে দিনের পর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, পেট্রোল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে, তাছাড়া নারীদের উপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে গেছে, দলিতদের উপর আক্রমণ বেড়েছে৷ তিনি বলেন, বিগত চার বছরে বিজেপি সরকারের শাসনকালে বারবার গণতন্ত্রের উপর আঘাত হানা হয়েছে৷ বেকার সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে৷ বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার আগে এবং পরে যে সব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তা আজও পূরণ হয়নি৷ তাই ত্রিপুরা প্রদেশ যুব কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আজকের দিনটিকে বিশ্বাসঘাতক দিবস হিসাবে পালিত হয়েছে৷ এদিন যুব কংগ্রেসের মিছিলে অভিনবত্ব ছিল৷ জ্বালানী তেলের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি তুলে ধরার জন্য ছোট গাড়ি দড়ি দিয়ে টেনে নেওয়া হয় এবং মোটরসাইকেল স্টার্ট না দিয়ে ঠেলে নিয়ে যাওয়া হয় মিছিলের অগ্রভাগ দিয়ে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *