
অ্যাসোসিয়েশন সূত্রের খবর, ২০১৬ সালের জানু্য়ারির মধ্যে ৯ বার জ্বালানির অন্তঃশুল্ক বাড়িয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। গত ২ এপ্রিল কলকাতায় পেট্রলের দাম পৌঁছে যায় লিটারপিছু ৭৬ টাকা ৪৪ পয়সায়। ডিজেলের দাম ছিল লিটারপ্রতি ৬৭ টাকা ২৭ পয়সা। ওই দিন দিল্লিতে পেট্রলের দাম বেড়ে দাঁড়ায় লিটারপ্রতি ৭৩ টাকা ৭৩ পয়সা এবং ডিজেলের দাম ৬৪ টাকা ৫৮ পয়সা। আগের দিনের চেয়ে এক ধাক্কায় পেট্রল–ডিজেলের দাম ১৮ পয়সা করে বাড়ে। লাগামছাড়া এই দশা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ট্যুইট করেন, ‘ডিজেল–পেট্রলের দাম বাড়ছে তো বাড়ছেই। সাধারণ মানুষ ভুগছে তো ভুগছেই। রান্নাঘর জ্বলছে। কেন্দ্র শুধু বকছে।’ এর পর ১৮ জুন লিটার কলকাতায় লিটার প্রতি ডিজেলের এবং পেট্রোলের দাম হয় ৫৬.৬৯ টাকা এবং ৬৮.০৬ টাকা৷
টানা গত ৯ দিন ধরে এক নাগাড়ে বেড়ে চলেছে জ্বালানির দাম। সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবার আরও ২৬ পয়সা দাম বেড়েছে ডিজেলের। মঙ্গলবার কলকাতায় ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৭০ টাকা ৬৩ পয়সা। পেট্রোলের দাম লিটার প্রতি ৭৯ টাকা ৫৩ পয়সা। সোমবার তুলনায় পেট্রোলের দাম ২৯ পয়সা বেড়েছে।
এইভাবে জ্বালানির দাম বাড়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে, পেট্রোল ডিলারদের অভিযোগ, জ্বালানির দাম এভাবে রোজ বাডা়য় পেট্রোলকর্মীদের সঙ্গে খদ্দেরদের নিত্য ঝামেলা হচ্ছে। এই কারণেই ১১ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিলেন পেট্রোল ডিলাররা। তাঁদের দাবি, এই ১১ দিনের মধ্যে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে প্রশাসনকে, তা না হলে ১ জুন থেকে ধর্মঘটের পথে হাঁটবে পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন।