নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৯ মে ৷৷ শপথ নিয়েই বিজেপি জোট সরকার সমস্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন৷ এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন নিয়োগ নীতি তৈরি না হওয়া পর্যন্ত রাজ্য সরকারের সমস্ত দপ্তরে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে৷ ফলে সহজের অনুমান করা যাচ্ছে, ভুলে ভরা নিয়োগ নীতিতে কাউকেই চাকুরি দিতে চাইছেনা রাজ্য সরকার৷
গত ১৪ মার্চ রাজ্য সরকার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে সমস্ত দপ্তরকে জানিয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়া পরর্বতী আদেশ না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে৷ তবে, সুপ্রিম কোর্ট কিংবা হাইকোর্ট অথবা অন্য কোনও আদালতের নিয়োগের ক্ষেত্রে এই আদেশ কার্যকর হবে না৷ রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, নিয়োগ প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করা হবে৷ তাই সমস্ত দপ্তর এবং স্বশাসিত সংস্থাগুলিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে হবে৷
পূর্বতন সরকারের আমলে নিয়োগ নীতিতে ত্রুটির কারণে বহুবার রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে৷ শিক্ষক মামলায় বামফ্রন্ট সরকার লেজে গোবরে হয়েছে৷ তাতে ১০৩২৩জন শিক্ষক শিক্ষিকাদের ভবিষ্যতও অনিশ্চিয়তার মুখে পড়েছে৷ সুপ্রিম কোর্ট তাদের চাকুরি বাতিল করে দিয়েছে৷ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এডহক ভিত্তিতে তাঁরা শিক্ষকতা করছেন৷ পূর্বতন সরকারের ভুলের কারণেই চাকুরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকাদের আগামী ৩০ জুনের পর থেকে চাকুরী স্থায়ী ভাবেই চলে যাবার সম্ভাবনাই বেশী৷
শুধু শিক্ষা দপ্তরেই নয়, অন্যান্য দপ্তরেও নিয়োগ নীতি এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ভুলের কারণে রাজ্য সরকারকে মাশুল দিতে হয়েছে৷ আদালত বিভিন্ন মামলায় পূর্বতন রাজ্য সরকারকে ভৎর্সনা করেছে৷
নির্বাচনের আগে নিয়োগ নীতি সংশোধন করে চাকুরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি৷ শুধু তাই নয়, নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও পরিবর্তন আনা হবে, সেই ঘোষণা ছিল বিজেপির৷ সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর মহাকরণে প্রথম জনতার দরবারে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়েছিলেন, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তবেই মিলবে সরকারি চাকরি৷ কোনও নেতার পেছনে ঘুরে সরকারি চাকুরি আদায় করা যাবে না৷