নয়াদিল্লি, ২৯ এপ্রিল (হি.স.) : কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের আগে রবিবার রাজধানী দিল্লিতে আয়োজিত কংগ্রেসের ‘জন আক্রোশ’ কর্মসূচীর মঞ্চ থেকে নজিরবিহীন ভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী।
এদিন রাহুল গান্ধী বলেন, ‘চিনে গিয়ে মোদীজি ডোকলাম নিয়ে একটি শব্দও বলেননি। কি ধরণের প্রধানমন্ত্রী তিনি?’ দেশের বেহাল আর্থিক পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদী দেশকে বেকারত্ব, গব্বর সিং টেক্স(গুডস এন্ড সার্ভিস টেক্সকে কংগ্রেস এই নামেই ডাকে) দিয়েছে। বিজেপি বিধায়ক মহিলাদের সম্মানহানি করেছে(উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ড)।’সাম্প্রদায়িকতার প্রসঙ্গ তুলে ধরে রাহুল বলেন, ‘বিগত ৭০ বছর ধরে দেশের
সমস্ত মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে রেখেছে কংগ্রেস। অন্যদিকে বিজেপি দলিত এবং সংখ্যালঘুদের উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। কৃষকদের বেহাল দশা নিয়েও তোপ দাগেন রাহুল গান্ধী। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ঋণের দায়ের জর্জরিত কৃষকেরা। কিন্তু তাদের ঋণ মকুব করছে না সরকার। উল্টে করপোরেটদের ঋণ মকুব করেছে সরকার।’

দলের নেতাকর্মী অনুপ্রাণিত করার জন্য রাহুল গান্ধী বলেন, ‘কর্ণাটক, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ে বিধানসভা নির্বাচনে জিতবে কংগ্রেস। এমনকি ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনেও জয়লাভ করবে কংগ্রেস।’ দলের বয়স্ক এবং তরুণের মেলবন্ধনের উপর জোর দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। দলীয় কর্মীদের সত্য এবং দেশের জন্য লড়াই করার আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি সব কংগ্রেসকর্মীদের বাঘের বাচ্চা বলে অভিহিত করেছেন রাহুল গান্ধী।
অন্যদিকে, কংগ্রেসের এই ‘জন আক্রোশ’ কর্মসূচীকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির সর্বভারতী সভাপতি অমিত শাহ। কংগ্রেসের এই কর্মসূচীকে ‘পরিবার আক্রোশ’ বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। এক ট্যুইটবার্তায় তিনি জানিয়েছেন, ক্ষমতা দখলের জন্য দেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত কংগ্রেসের। কংগ্রেসের নেতিবাচক, বিভাজন এবং উন্নয়নবিরোধী রাজনীতিকে দেশের ১২৫ কোটি মানুষ ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। আর তাই একটার পর একটা রাজ্যে হেরেছে কংগ্রেস।