বিদ্যালয় শিক্ষায় পরিকাঠামো উন্নয়নে ১০০ দিনের পরিকল্পনা সুনিশ্চিত করল রাজ্য সরকার

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ এপ্রিল ৷৷ রাজ্যের বিদ্যালয় শিক্ষা দফতর শিক্ষকদের নির্দিষ্ট সময় অন্তর বিশেষ শিক্ষা প্রদানে কর্মকুশলতা বৃদ্ধির জন্য এবং শিক্ষাদানে আধুনিক ব্যবস্থাদিরপপ সম্যক জ্ঞান দিতে প্রশিক্ষণের পরিকাঠামো গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ একই সঙ্গে বিদ্যালয়গুলির পরিকাঠামোগত ত্রুটি দূরীকরণে ১০০ দিনের মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থাদি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷

রাজ্য বিদ্যালয় শিক্ষা দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিক সরকারের পরিকল্পনার ব্যাখা দিতে গিয়ে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান, প্রাথমিকভাবে অপ্রশিক্ষিত অর্র্থৎ শিক্ষক শিক্ষণে অনভিজ্ঞদের মান উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ প্রথম ধাপে ৮১০ জন বিভিন্ন স্তরের এ ধরনের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে৷ এই প্রশিক্ষণ হবে পাঁচদিনের জন্য৷ আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা, আধুনিক পাঠ দানের পদ্ধতি এবং পাঠ্য বিষয়ে নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে৷ টানা পাঁচদিন এ ধরনের প্রশিক্ষণ চলবে৷ ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের পর ইতিমধ্যেই ১৫০ জন শিক্ষককে এ ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে৷ আগামী ১০০ দিনের মধ্যে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা হবে৷

বিদ্যালয় শিক্ষা দফতরের এই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, টাটা ট্রাস্ট এবং এসসিইআরটি এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু স্থানে শিক্ষকদের উপযুক্ত জ্ঞান দানের জন্য এবং প্রয়োজনে ছাত্রছাত্রীদের অপেক্ষাকৃত বড় পরিসরে এনে জ্ঞান দানের জন্য স্টুডিও গড়ে তোলা হচ্ছে৷ প্রত্যন্ত এলাকা তুলা শিখরে এ ধরনের একটি স্টুডিও গড়ে উঠবে৷ ডিজিটাল ব্ল্যাকবোর্ড প্রকল্পের আওতায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷

তিনি আরও জানান, রাষ্ট্রীয় শিক্ষা অভিযান এবং সর্বশিক্ষা অভিযান দুটি প্রকল্পকে এক সঙ্গে যুক্ত দিয়ে রাজ্য সরকার প্রকল্পাধীন কর্মীদের চাকরির অনিশ্চয়তা দূর করে দেওয়া হয়েছে৷ বিধানসভায় রাজ্য সরকারের পেশ করা ভোট অন অ্যাকাউন্টে এই খাতে ৪৪ কোটি ১ লক্ষ ১ হাজার ১৮২ টাকা রাখা হয়েছে৷ একই সঙ্গে রাজ্য সরকার ১০০ দিনের মধেও বিদ্যুৎ সংযোগহীন প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ আপাতত যে হিসাব এসেছে রাজ্য সরকারের কাছে সে অনুযায়ী ১৯৩টি বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই৷ এর মধ্যে ১৪১ টিতে বিদ্যুৎ সম্প্রসারণের জন্য কাজ শুরু হয়ে গেছে৷ একই সঙ্গে নবম শ্রেণি পর্যন্ত যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী বরাবর ৩০ শতাংশের কম নম্বর পাচ্ছে, তাদের গ্রীষ্মের ছুটিতে বিশেষ পাঠদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে৷ ২৫ দিনের এই বিশেষ পাঠ দানের প্রক্রিয়া হবে বলে ওই আধিকারিক জানিয়েছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *