নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ এপ্রিল৷৷ রাজ্যের খরা, বন্যা কবলিত এলাকায় যে সমস্ত কৃষি জমি রয়েছে. সেখানকার কৃষকদের রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আগামী ১০০ দিনের মধ্যে বীমার আওথায় নিয়ে আসতে হবে৷ এর জন্য কৃষি দপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে৷ আজ মহাকরণের ১নং কনফারেন্স হলে কৃষি দপ্তর আয়োজিত কৃষি উন্নয়মূলক পর্যালোচনা বৈঠকে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ এই বৈঠকে কৃষি মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় উপস্থিত ছিলেন৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আনারস ফলনের জন্য উফযুক্ত জায়গা চিহ্ণিত করে আনারস উৎপাদন করার উদ্যোগ নিয়ে সংলগ্ণ এলাকাতেই ফল প্রক্রিয়াকরণ কারখানা তৈরি করতে হবে৷ এর ফলে কোনও পরিবহনখরচ লাগবে না৷ রাজ্য সরকার রাজ্যের আনারস জুসকে সারা দেশের মধ্যে সুপরিচিত এবং বিখ্যাত করার উদ্যোগ নিয়েছে৷ সারা বছর আনারস সরবরাহ অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনে কোল্ড স্টোরেজ করার উপর মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্ব আরোপ করেন৷ রাজ্য রাজ্য সরকার আনারসকে বাজারজাতকরণের উপর জোর দিয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী কৃষি দপ্তরকে সবরি কলা নিয়ে মানুষের স্বাস্থ্য উপকারিতার বিষয়ে সার্টিফিকেট দেয়ার জন্য এবং কাসুন্দি কারখানা স্থাপনের বিষয়ে বাজার নিরীক্ষণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী কৃষি দপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন৷ মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের একমাত্র কৃষি কলেজকে কেন্দ্রীয় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করার জন্য কৃষি দপ্তরের প্রধান সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রক অনুমোদিত রাজ্যে যে নতুন ৪টি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র তৈরি করা হবে তার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন৷ আগামী ২০১৯ লোকসভার নির্বাচনের আগে এই কৃষি বিজ্ঞানকেন্দ্রগুলি চালু করতে দপ্তরের কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বলেন৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রগুলি চালু হলেই ৪০০ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে৷ রাজ্যে কোনো জায়গা যেন খালি না থাকে সে দিকে লক্ষ্য দিতে হবে৷ এনথুরিয়াম ফুল চাষকে কৃষি এবং উদ্যান পরিকল্পনায় যুক্ত করতে হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাবার চাষের উপর মানুষের বেশি প্রবণতার ফলে রাজ্যের জম্পুই হিলের কমলার উৎপাদন কমে যাচ্ছে৷ তিনি বলেন, বন দপ্তরের মাধ্যমে বাজেয়াপ্ত কাঠের লগ প্রতিমাসেই ই-অকশন করতে হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বসহায়ক দলগুলোকে পুনর্গঠন করা হবে৷ এই স্বসহায়ক দলের যুবক যুবতীদের মুদ্রা ব্যাঙ্ক প্রকল্পের মাধমে ঋণের ব্যবস্থা করে হাইব্রিড টমেটো চাষের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী কৃষি দপ্তরের ১০০ দিনের কাজের মধ্যে ইফার্মিং চালু করে কৃষিকে আধুনিকীকরণ করা সহ আনারস, বাঁশ, কাকড়োল প্রভৃতি চাষে লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করতে বলেন৷ বৈঠকে কৃষি দপ্তরের আগামী ৩ বছরের যাবতীয় কৃষি উন্নয়নমূলক পরিকল্পনার রূপরেখা পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন কৃষি দপ্তরের প্রধান সচিব ইউ ভেঙ্কটেশ্বরালু৷ বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ইছলেন মুখ্যসচিব সঞ্জিব রঞ্জন, অর্থ দপ্তরের প্রধান সচিব এম নাগারাজু, মুখ্য বন সংরক্ষক এ কে গুপ্তা এবং কৃষি দপ্তরের পদস্থ আধিকারিকগণ৷
2018-04-18