ঢাকা, ২৫ মার্চ (হি.স.) : ঢাকার ময়মনসিংহের ভালুকায় একটি বাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ৷ ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভালুকার জামিরদিয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় আর এস টাওয়ার নামের একটি ছয় তলা বাড়ির তিন তলায় । বিস্ফোরণের ফলে পুরো বাড়িতেই ধস নেমেছে৷ এই ঘটনায় একজনের মৃত্যু ও আরও তিনজন গুরুতর জখম হয়েছে। এরা প্রত্যেকেই কলেজ পড়ুয়া৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে বম্ব স্কোয়াড৷ ঘিরে রাখা হয়েছে বাড়িটি৷
জেলার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, “বিস্ফোরণে ভেতরের সবকিছুই চুরমার হয়ে গেছে। এটা বোমা হতে পারে, আবার গ্যাস সিলিন্ডার থেকেও হতে পারে। আমরা এখনই নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।” বিস্ফোরণে নিহত তৌহিদুল ইসলাম ওরফে তপুর লাশ এখনও ঘটনাস্থলেই আছে। ঘটনায় গুরুতর আহতদের পাঠানো হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হতাহত চারজনই খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। একটি টেক্সটাইল মিলে ইন্টার্ন করতে তারা ভালুকায় এসে গত ১০ মার্চ আর এস টাওয়ারের তিন তলার ওই বাড়িটিতে এক মাসের জন্য ভাড়া নেন। ওই বিড়ির মালিক আব্দুর রাজ্জাক (৫২) ঝুট কাপড়ের ব্যবসা করেন, তিনি থাকেন ঢাকায়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। ফায়ার সার্ভিসের ভালুকা স্টেশনের ইনচার্জ বলেন, ওই বাড়িটিতে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের খবর পেয়ে তাদের কর্মীরা সেখানে যান। তিন তলার একটি ফ্ল্যাটে একজনের ছিন্নভিন্ন দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। বিস্ফোরণ এতটাই ভয়াবহ ছিল যে ওই ফ্লোরের দুটি দেওয়াল ভেঙে পড়ে। জানালার কাচ ও পার্টিশন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। একটি জানালার গ্রিল বিস্ফোরণের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে দূরে।
আর এস টাওয়ারের এক বাসিন্দা জানায়, “রাতের বেলায় বিকট শব্দ শুনে আমরা ভাবছি ডাকাত। তাড়াহুড়ো করে নেমে দেখি তিন তলা থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। ওখান থেকে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করছিল। পরে লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে।” নতুন এই বাড়িটির ছয় তলায় মোট ৪২টি ফ্ল্যাট রয়েছে। তবে সবগুলোর কাজ শেষ না হওয়ায় বেশিরভাগ ফ্ল্যাটে এখনও ভাড়াটে ওঠেনি। ওই বাড়িটিতে গ্যাসের লাইন না থাকায় সিলিন্ডার গ্যাস দিয়ে রান্নার কাজ চালাতে হয়। তবে এই বিস্ফোরণের পিছনে কোনও জঙ্গি নাশকতা বা কোনও দুর্ঘটনা কিনা তা খতিয়ে দেখাছেন তদন্তকারী অফিসাররা।