দেউলিয়া এয়ারসেল, অসহায় অবস্থায় রাজ্যের ডিস্ট্রিবিউটর ও রিটেইলাররা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ মার্চ৷৷ দেউলিয়া হয়ে গেছে এয়ারসেল৷ ফলে, এই টেলিকম সংস্থাটি রাজ্য সহ সারা দেশে পরিষেবা বন্ধ করে

শনিবার আগরতলায় সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন এয়ারসেল ডিসিপিএস এসো’র নেতৃবৃন্দ৷ নিজস্ব ছবি৷

দিয়েছে৷ তাতে, ভিষণ সমস্যায় পড়েছেন এয়ারসেলের ডিস্ট্রিবিউটর এবং রিটেলাররা৷ তাঁদের প্রচুর টাকা ওই সংস্থায় ফেঁসে গেছে৷ যা এখন ফেরত পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই৷ তাই, শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে অল ত্রিপুরা এয়ারসেল ডিসিপিএস এসোসিয়েশন তাঁদের আর্থিক লোকসান থেকে বাঁচানোর আবেদন জানিয়েছে৷ রাজ্য সরকারের প্রতিও তারা সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছে৷

এদিন সংগঠনের সম্পাদক রণজয় রায় চৌধুরী বলেন, ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত সারা দেশে এয়ারসেলের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৮ কোটি৷ এরাজ্যেও এয়ারসেলের প্রচুর গ্রাহক রয়েছেন৷ সারা রাজ্যে ৩৫ জন ডিস্ট্রিবিউটর এবং রিটেলার মিলে এয়ারসেলের যুক্ত রয়েছেন প্রায় সাড়ে সাত হাজার জন৷ সকলেরই প্রচুর টাকা ওই সংস্থায় জমা রয়েছে৷ কিন্তু, এখন সেই টাকা ফেরত পাওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে তাঁরা মনে করছেন না৷ কারণ, এয়ারসেলের পার্টনার মালয়েশিয়ান কোম্পানিটি তাদের সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়েছে৷ সাথে সংস্থার বিরাট পঁুজিও তারা নিয়ে গেছে৷ সম্প্রতি সংস্থা টিকিয়ে রাখার জন্য ব্যাঙ্কের কাছে ঋণ চেয়েছিল এয়ারসেল৷ কিন্তু, সেই ঋণ না পাওয়ায় এয়ারসেল ন্যাশনাল কোম্পানিস ল ট্রাইব্যুনালের কাছে দেউলিয়া ঘোষণার দাবি জানায়৷ সেই দাবি মেনে নিয়েছে ট্রাইব্যুনাল৷ ফলে, তারা রাজ্যের পাশাপাশি সারা দেশে মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে৷

শ্রীচৌধুরীর কথায়, ২৮ মার্চের মধ্যে সমস্ত ডিস্ট্রিবিউটরদের কত টাকা এয়ারসেল থেকে পাওনা তা জাননোর জন্য বলেছে ট্রাইব্যুনাল৷ কিন্তু, এত অল্প সময়ের মধ্যে সমস্ত হিসেব দেওয়া কোনভাবেই সম্ভব হচ্ছে না৷ কারণ, এয়ারসেলের কাছে টাকা জমা দেওয়ার সমস্ত নথী এখনো বন্দোবস্ত করা সম্ভব হয়নি৷ তাঁর দাবি, এরাজ্যের বিভিন্ন ডিস্ট্রিবিউটরের কয়েক কোটি টাকা  এয়ারসেলের কাছে জমা রয়েছে৷ এমনকি রিটেলারদেরও প্রচুর টাকা ওই সংস্থার কাছে জমা রয়েছে৷

এই অবস্থায় সংগঠন রাজ্য সরকারের কাছে তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসার আবেদন জানিয়েছে৷ শ্রীচৌধুরী রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, এই অসহায় অবস্থা থেকে আমাদের উদ্ধার করুন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *