দোকানে ঢুকে ব্যবসায়ীর উপর হামলার অভিযোগে দুই মহিলাকে প্রকাশ্যে মারধর

নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ২৩ মার্চ৷৷ শুক্রবার সকালে প্রকাশ্য দিবালোকে বিশালগড় নিচের বাজারস্থিত ব্যবসায়ী স্বপন কুমার সাহা (৩৫) কে

বিশালগড়ে প্রকাশ্যে দুই মহিলাকে মারধর৷ শুক্রবার তোলা নিজস্ব ছবি৷

মারধর করে দুই মহিলা৷ প্রথমে পান ও ভ্যারাইটিজ দোকান মালিকের দোকানে লিটু সরকার দাস (৩০)নামে মহিলা পান ও কোলড্রিংস কেনার নাম করে গিয়ে পরিকল্পিতভাবেই স্বপন কুমার সাহার উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ৷ লিটু পান কেনার ছলনায় ব্যবসায়ীকে গলায় চাপা ও ইট দিয়ে বুকে আঘাত করলে তার চিৎকারে পাশের দোকানের ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসে এবং লিটুর ছোট বোন মিলি সরকার দেবনাথ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দোকানে ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ৷

জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ছিল পূর্ব পরিকল্পিত৷ কারন বিশালগড় নেতাজি নগরে মাসখানেক পূর্বে লিটু ও মিলির ভাইকে একটি প্রণয় সংক্রান্ত ব্যাপারে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেয় ক্ষুব্ধ জনতা৷ প্রাথমিক ভাবে তদন্ত করে কিছু না জানা গেলেও পুলিশের ধারনা এই পরিপ্রেক্ষিতে হয়তো এর রকম ঘটনা সাজাতে পারে দুই বোন মিলে৷ ঘটনার কিছুক্ষণ পরে যখন লোকজন জড়ো হয় তখন দুই মহিলাকে আটক করেন৷ অতর্কিত ভাবে দুই মহিলাকে আক্রান্ত ব্যবসায়ী স্বপন বাবুর স্ত্রী ও এলাকার মহিলারা মিলে প্রকাশ্যে দিবালোকে কিল, চড়, ঘুষি চালাতে থাকে৷ ধস্তাধস্তি শুরু হয় সকলের মধ্যে৷ খবর দেওয়া হয় বিশালগড় থানায়৷ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতার কবল থেকে দুই মহিলাকে উদ্ধার করলেও৷ কিছু সংখ্যক লোক দূর থেকে বলতে শুরু করছে যে মহিলা থানারও মহিলা পুলিশ কর্মী স্বপ্লতা রয়েছে তা না হলে কি মহিলা ঝাপটে ধরে গাড়িতে তুলতে বাধ্য হচ্ছে পুরুষ কনস্টেবল৷ কেন এমন পরিস্থিতি? তা নিয়েও পুলিশের উপর আমজনতার ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে৷ মহিলা থানায় নিয়ে গিয়ে দুই মহিলা লিটু ও মিলিকে জেরা করার পর কিছু না জানতে পারলেও তাদের পরিচয় জানা যায়৷ বিয়ের পূর্বে তাদের বাড়ি ছিল জাঙ্গালিয়া৷ লিটুর স্বামীর বাড়ি আসামের দিপুতে৷ স্বামীর নাম প্রণয় দাস৷ আর তার ছোট বোন মিলির বাড়ি আগরতলা চিত্তরঞ্জন ক্লাবের পাশে৷ সমরেশ সরকারের বাড়িতে ভাড়া থাকেন৷ স্বামী ভুলু দেবনাথ৷ প্রসঙ্গত, মামলা এবং পাল্টা মামলা হয় দুই থানায়৷ মহিলা দুজনেই দোকান মালিক স্বপন কুমার সাহার নাম দিয়ে মামলা নথিভুক্ত করেন মহিলা থানায়৷ মামলা নম্বর হচ্ছে ৯/১৮৷ মামলা করা হয়েছে আইপিসির ৩৫৩/৩৫৪/৩২৫/৩৪ ধারায়৷