কাবুল, ২১ মার্চ (হি.স.) : আবারও ভয়াবহ বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠল আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল। বুধবার সকালে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ওই গাড়িবোমা বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন ২৬ জন। আহত আরও ১৮। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। তবে নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যে পৌঁছেছে সেনা আধিকারিকরা। শুরু হয়েছে উদ্ধারকার্য। আহতদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে।
সূত্রের খবর, কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় এবং আলি আবাদ হাসপাতালের কাছে এই জঙ্গি হামলা ঘটে৷ মনে করা হচ্ছে, একটি আত্মঘাতী গাড়ি বোমা বিস্ফোরণেই প্রাণ যায় এঁদের৷ সমগ্র এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে৷ ইরানিয় নববর্ষে এই ধরণের ভয়াবহ ঘটনার ঘটানোর পিছনে কারা রয়েছে, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি৷ এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, এদিন পার্সিয়ান বছরের প্রথম দিন উপলক্ষে ‘নভরোজ’ উৎসব পালনের জন্য একাধিক মানুষ জড়ো হয়েছিলেন রাজধানী কাবুলে। যখন সবাই উৎসবের মেজাজে ছিলেন, ঠিক তখনই ভয়াবহ বিস্ফোরণটি ঘটে। চারিদিক ঢেকে যায় ধুলোয় । দেখা যায়, গোটা এলাকায় মৃতদেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আহতদের উদ্ধারে নামেন স্থানীয়রাও। সেদেশের অভ্যন্তরীন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিস্ফোরণের কথা মেনে নেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এটি একটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারিতে বেশ কয়েক দফায় হামলা হয় কাবুলে। একটি বিলাসবহুল হোটেলে হামলায় বিদেশিসহ অন্তত ২২ জন নিহত হওয়ার পর কাবুল জুড়ে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়। ওই সতর্কতার মধ্যেই শহরের সিটি সেন্টারের কাছে শক্তিশালী গাড়ি বোমা হামলা চালায় তালেবান গোষ্ঠী। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী বিস্ফোরক বোঝাই অ্যাম্বুলেন্সে করে চালানো ওই হামলায় নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ১০৩ জনে পৌঁছে যায়। এর দুই দিনের মধ্যেই আবার কাবুলের মিলিটারি একাডেমিতে জঙ্গিদের সঙ্গে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানায়, হামলায় অন্তত ১১ জন সেনা সদস্য নিহত এবং ১৬ জন আহত হয়।