নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ ফেব্রুয়ারি৷৷ ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হওয়ার পর থেকেই নিরাপত্তা কর্মীদের বিভিন্ন এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে৷ দুষ্ট চক্রগুলি ভোটপর্ব চলাকালে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল ও তীক্ষ্ন নজরদারীর কারণে শান্তির পরিবেশ তেমনটা বিনষ্ট করতে পারেনি৷ নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা হ্রাস পাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন স্থানে অশান্তির পরিবেশ কায়েম করার চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে দুসৃকতিরা৷ গন্ডাছড়া অমরপুর সড়কে গত তিনদিন ধরে সন্ধ্যা হতেই কতিপয় দুসৃকতিরা তান্ডব চালাচ্ছে৷ যাত্রীবাস সহ অন্যান্য যানবাহনে তারা ঢিল ছুঁড়েছে৷ শুধু তাই নয়, দুষ্টচক্রটি একটি কমান্ডার জিপ গাড়ি নিয়ে যানবাহনের পেছনে ধাওয়া করছে৷ লুটেরা বাহিনী এই এলাকায় তৎপর হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ৷ ফলে অমরপুর গন্ডাছড়া সড়কে যাতায়াতকারী যাত্রী সাধারণ তীব্র আতঙ্কে ভুগছেন৷ গন্ডাছড়া থেকে থালছড়া পর্যন্ত প্রায় ত্রিশ কিলোমিটার রাস্তায় টহলের কোন ব্যবস্থা নেই৷ লুটেরা বাহিনী তান্ডব চালাল্যে আরক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না৷ প্রশাসনের দুর্বলতারা সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দুষ্টচক্রটি যেকোন সময় যাত্রীবাহী যানবাহ আটক করে লুটপাট চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ বিষয়টি যানবাহনের চালক ও মালিক পক্ষ থেকে প্রশাসনের নজরে আনা হয়েছে৷ তারপরও কুম্ভকর্ণের নিদ্রায় প্রশাসন৷ উল্লেখ্য, গন্ডাছড়া অমরপুর সড়কটিতে বহুবার হামলা হুজ্জুতির ঘটনা ঘটেছে৷ প্রশাসন এই সড়কে নিরাপত্তার উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে যেকোন সময় অঘটন ঘটে যেতে পারে এবং যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়তে পারে৷ তাতে বিস্তীর্ণ এলাকার জনগণ জটিল সমস্যার সম্মুখীন হবে৷ অঘটন ঘটলে প্রশাসন এর দায় কোনভাবেই অস্বীকার করতে পারবে না৷ কেননা, স্পর্শকাতর এই এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করারা জন্য নানা তরফ থেকে বহুবার প্রশাসনের কাছে দাবী জানানো হয়েছে৷ দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে গন্ডাছড়া এলাকায় যে শান্তি সম্প্রীতির পরিবেশ অক্ষুন্ন রয়েছে তাকে বিনষ্ট করার জন্যই এই চক্রান্ত বলে মনে করা হচ্ছে৷
2018-02-23

