পাঁচকুলা(হরিয়ানা), ১৯ ফেব্রুয়ারি (হি.স.): পাঁচকুলায় হিংসার ঘটনায় ডেরা সাচ্চা সৌধার প্রধান গুরমিত রাম রহিমের ৫৩ জন অনুগামীকে খুনের চেষ্টা এবং রাজদ্রোহের অভিযোগ থেকে সোমবার রেহাই দিল পাঁচকুলা আদালত। গত বছর ২৫ আগস্ট হরিয়ানার পাঁচকুলায় গুরমিত রাম রহিমের অনুগামীরা তাণ্ডব চালায়। গুরমিত রাম রহিমের সাজা ঘোষণার বিরোধী করে পাঁচকুলার একাধিক জায়গায় হিংসাত্মক হামলা চালায় তারা। এই হামলার চালানোর জন্য বহু ডেরা অনুগামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সূত্রের দাবি পর্যাপ্ত পরিমাণে তথ্যপ্রমাণ এবং সিসিটিভি ফুটেজ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে পেশ করতে পারেনি পুলিশ। তাই ৫৩ জন ডেরা অনুগামীকে রাজদ্রোহ এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগ থেকে রেহাই দিল আদালত। ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩০৭, ১২১, ১২১-এ থেকে ৫৩ জন অনুগামীকে রেহাই দেওয়া হয়েছে। ৫৩ জন ডেরা অনুগামীদের মধ্যে ডেরা মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর সুরিন্দ্র ধীমান ইনসান এবং ডেরার দায়িত্বে থানা চমকৌ সিং রয়েছেন।
এদিন অতিরিক্ত দায়রা বিচারক রাজন ওয়ালিয়া এই রায় দেন। আগামী ২২শে ফেব্রুয়ারি এই মামলার ফের শুনানি হবে। এই বিষয়ে সরকারী আইনজীবী রোমিল লাম্বা জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীদের বিক্ষোভ মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। পুলিশের দিকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়ছিল ওই বিক্ষোভকারীরা। তাই তাদের বিরুদ্ধে ৩০৭, ১২১, ১২১এ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছিল। অন্যদিকে ডেরা অনুগামীদের পক্ষের আইনজীবী এস এস রোহিল্লা জানিয়েছেন, ডেরা অনুগামীদের বিরুদ্ধে আনা এই সব অভিযোগ অযৌক্তিক। কারণ হিসেবে তিনি বলেন পুলিশকর্মী চোট গুরুতর ছিল। তাদের জীবনহানিরও কোনও আশঙ্কা ছিল না। আর বিক্ষোভকারীদের কাছে কোনও ভয়ানক অস্ত্র ছিল না। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন ১২১ এবং ১২১এ ধারায় যে অভিযোগ ডেরা অনুগামীদের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে তা ঠিক নয়। রাষ্ট্রদ্রোহিতার কোনও উদ্দেশ্যই বিক্ষোভকারী ছিল না।
অন্যদিকে, ডেরা অনুগামীদের ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারা(খুনের চেষ্টা) থেকে রেহাই দেওয়ার সময় আদলত জানায়, নিছক পাথর ছোড়াকে খুনের চেষ্টা হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। এই হামলায় কোনও পুলিশকর্মীর জখমই প্রাণঘাতী ছিল না। ডেরা অনুগামীরা ১২১, ১২১এ, ৩০৭ ধারা থেকে রেহাই পেলেও দাঙ্গা করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে ১৪৮ এবং ১৪৯ ধারায় অভিযোগ এখনও বহাল রয়েছে। তাছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে সরকারী কর্মীদের কাজে বাঁধা দেওয়া জন্য ২৮৩ ধারা এবং সরকারী কর্মীদের উপর হামলা চালানোর জন্য ৩৩২ ধারায় অভিযোগ এখনও বহাল রয়েছে।