কোচি (কেরল), ১৩ ফেব্রুয়ারি (হি.স.): ওএনজিসি-র জাহাজ মেরামতির সময় জোরালো বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কোচির শিপইয়ার্ড লিমিটেড চত্বর| মঙ্গলবার সকালে কোচির শিপইয়ার্ডে জাহাজ মেরামতির কাজ চলছিল| ঘড়ির কাঁটায় সকাল তখন দশটা হবে, আচমকাই জোরালো বিস্ফোরণ হয়| বিস্ফোরণের পরই আগুন ধরে যায়, আগুনে ঝলসে ও ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের| এছাড়াও গুরুতর জখম হয়েছেন অন্তত ১১ জন| প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, জাহাজের জলের ট্যাঙ্কে বিস্ফোরণে থেকে আগুন লেগে যায়|
কোচির শিপইয়ার্ড লিমিটেড সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে সমুদ্রে ড্রিলিংয়ের কাজে ব্যবহৃত সাগর ভূষণ নামক একটি জাহাজের মেরামতি চলছিল| সকাল দশটা নাগাদ শিপইয়ার্ডে দাঁড়িয়ে থাকা ওনএনজিসি-র সাগর ভূষণ জাহাজের ট্যাঙ্কে জোরালো বিস্ফোরণ হয়| কোচির শিপইযার্ড লিমিটেডের তরফে আরও জানানো হয়েছে, যে সময় বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে তখন জাহাজটিতে অন্তত ১৬ জন কর্মী ছিলেন| ১১ জনকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হলেও, আগুনে ঝলসে ও ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের| মৃতেদর মধ্যে দু’জনের নাম এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, তাঁরা হলেন-গাভিন এবং রামশাদ| গাভিন কেরলের পথনমথিট্ট জেলার বাসিন্দা এবং রামশাদের বাড়ি কোচির ভিপিন এলাকায়| বাকিদের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ|
পুলিশ ও দমকল সূত্রের খবর, জোরালো বিস্ফোরণের পরই ধোঁয়ায় ঢেকে যায় শিপইয়ার্ড| প্রবল ধোঁয়ার কারণে উদ্ধারকার্য ব্যহত হয়| পরে দমকল কর্মীদের চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে এসেছে| প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের| মহাশিবরাত্রি উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার কোচির শিপইয়ার্ড বন্ধ রয়েছে| অল্প কয়েকটি সেকশনে কাজ চলছিল| ঠিক কী কারণে আগুন লাগল, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি| প্রাথমিকভাবে পুলিশ কর্তাদের অনুমান, জাহাজে জলের ট্যাঙ্কারের ত্রুটিজনিত কারণেই এই বিস্ফোরণ| তবে, ওএনজিসি-র তরফ থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি|