দুমকা (ঝাড়খণ্ড), ১২ ফেব্রুয়ারি (হি.স.): সাত সকালে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটল ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলায়| সোমবার ভোর পাঁচটা নাগাদ দুমকা জেলায়, জামা থানার অন্তর্গত লগলা গ্রামের সন্নিকটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর রেলিং ভেঙে শুকনো নদীতে পড়ে যায় যাত্রীবোঝাই একটি জীপ| ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৮ জন| দুর্ঘটনায় ৮ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দু’জন|
পদস্থ এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, বিহারের ভাগলপুর থেকে হিন্দি খবরের কাগজ নিয়ে দুমকা অভিমুখে আসছিল ‘অভিশপ্ত’ ওই জীপটি| রাস্তায় ৮ জনকে জীপে তোলেন চালক ও খালাসি| সকাল হওয়ার আগেই দুমকায় পৌঁছে দিতে হবে খবরের কাগজ| কিন্তু, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে| তাই দ্রুত গতিতে জীপটি চালাচ্ছিলেন চালক| প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ছুটছিল জীপটি| ঘড়ির কাঁটায় সকাল তখন পাঁচটা হবে, লগলা গ্রামের সন্নিকটে সেতুর উপর ওঠা মাত্রই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন জীপের চালক| এরপর জীপটি সেতুর রেলিং ভেঙে ২০ ফুট নীচে শুকনো জোরিয়া নদীতে পড়ে যায়| দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে জীপের চালক ও খালাসি সহ ৮ জনের| জীপের আরোহী দু’জন যাত্রীকে অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে নিকটবর্তী সদর হাসপাতালে|
পদস্থ এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, জীপের চালক ও খালাসির বাড়ি বিহারে| দুর্ঘটনায় নিহত ৮ জনের মধ্যে ৬ জনের নাম জানা গিয়েছে, তাঁরা হলেন-পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের বাসিন্দা কাজু শেখ, দুমকার বাসিন্দা শিবনাথ দেহরী, সুন্দর লাল, বিহারের বাঁকার বাসিন্দা জীপের চালক গোবিন্দ শাহ, বিহারের পূর্ণিয়া (কসবা)-র বাসিন্দা শিব কুমার এবং দুমকার বাসিন্দা নবীন কুমার সিং| কী কারণে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল জীপটি, তা তদন্ত করে দেখছে জামা থানার পুলিশ| প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, জীপের চালক হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, সেই কারণেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতু থেকে নদীতে পড়ে যায় যাত্রীবোঝাই জীপটি|