নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৯ ফেব্রুয়ারি৷৷ আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দিতে সচিত্র ভোটার পরিচয় পত্র কিংবা নির্বাচন কমিশন প্রদত্ত সচিত্র ভোটার স্লিপ প্রযুজ্য হবে৷ অন্যকোন পরিচয় পত্র গ্রহণ করা হবেনা৷ শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যনির্বাচন আধিকারিক শ্রীরাম তরণীকান্তী৷ সাথে তিনি যোগ করেন, নির্বাচনের ৫ দিন আগে সমস্ত সচিত্র ভোটার স্লিপ বিলি করার কাজ সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ পাশাপাশি জানিয়েছেন, ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পোস্টাল ব্যালটে ভোট গ্রহণ করা হবে৷
এদিন মুখ্যনির্বাচন আধিকারিক বলেন, সচিত্র ভোটার স্লিপ প্রত্যেক ভোটারের কাছে নির্বাচনের ৫ দিন আগে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ নির্বাচনের কাজে নিযুক্ত সংশ্লিষ্টদের এই সময়ের মধ্যেই সচিত্র ভোটার স্লিপ বিলি করার কাজ সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ তিনি জানান, ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রত্যেক ভোটারকে সচিত্র ভোটার পরিচয় পত্র কিংবা নির্বাচন কমিশন প্রদত্ত সচিত্র ভোটার স্লিপ সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে৷ কারণ, অন্য কোন পরিচয় পত্র ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রহণ করা হবে না৷ তাঁর কথায়, নির্বাচন কমিশন এই নির্দেশিকা জারি করেছে৷
আসন্ন ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের কাজে নিযুক্ত ভোট কর্মীদের পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে৷ এই প্রক্রিয়া চলবে ১৪ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত৷ মহকুমা সদর কার্যালয়ের আরও ফ্যাসিলিয়েশন সেন্টারে তারা ভোট দেবেন৷ মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক শ্রীরাম তরণীকান্তী জানান, ১০ এবং ১১ ফেব্রুয়ারী ভোটের কাজে নিযুক্ত পুলিশ ও টিএসআর আধিকারিক এবং জওয়ানরা ভোট দেবেন৷ আগামীকাল ভোট গ্রহণ হবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত৷ ১১ তারিখ ভোট গ্রহণ হবে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত৷ ১১ তারিখ দুপুরে ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ট ভোট গ্রহণ করা হবে ভোটের কাজে নিযুক্ত ভোট কর্মীদের৷ ১২ তারিখ সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময়ে ভোট দেবেন ড্রাইভার, ক্লিনার এবং অন্যান্য কর্মীরা৷ ১০ থেকে ১৩ তারিখ অব্দি যারা ভোট দিতে পারেননি তারা এবং মাইক্রো অবজারভার, ওয়েবকাস্টিং ক্রুরা ১৪ ফেব্রুয়ারী সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত সময়ে জেলা ফ্যাসিলিয়েশন সেন্টারে ভোট দেবেন৷ জেলা নির্বাচন আধিকারিকদের তত্ত্বাবধানে জেলা সদর দপ্তরগুলিতে জেলা ফ্যাসিলিয়েশন সেন্টার কাজ করবে৷ সিপাহীজলা জেলার ক্ষেত্রে তা হবে বিশালগড়ে৷
মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক শ্রীরাম তরণীকান্তি জানান, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য দুই হাজারের মতো মাইক্রো অবজারভার নিয়োগ করা হয়েছে৷ তিনি জানান, পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া পর্যপেক্ষণ করার জন্য ২৫ জন পর্যবেক্ষক থাকবেন এবং তারা সবাই ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসে পৌঁছে গেছেন৷ এর মধ্যে ২৫ জন সাধারণ পর্যবেক্ষক, ১৯ জন ব্যয় সংক্রান্ত এবং ৮ জন পুলিশ পর্যবেক্ষক রয়েছেন৷