নয়াদিল্লি, ৯ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : সোমবার মেজর আদিত্য কুমারের বাবার আর্জি শুনবে সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার জানাল দেশের শীর্ষ আদালত |
কাশ্মীরে কর্মরত সেনাবাহিনীর ১০ নম্বর গারোয়াল রাইফেল্সের মেজর আদিত্য কুমারের বাবা প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট কর্নেল করমবীর সিং বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে শোপিয়ানে গুলি চালনার ঘটনায় রিট পিটিশন দাখিল করেছিলেন। দাখিল করা সেই পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার মুখ্য বিচারপতি দীপক মিশ্র ও বিচারপতি এ এম খানিলকর ও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছেন যে, আগামী সোমবার প্রাক্তন সেনানীর পিটিশন শুনবে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
জানা গিয়েছে, ২৭ জানুয়ারি জম্মু কাশ্মীরের সোপিয়ানে জঙ্গি অপারেশনে যাওয়া মেজর আদিত্য কুমার ও তাঁর ১০ গারওয়াল রাইফেলস সেনা ইউনিটকে ঘিরে ধরে পাথর ছুঁড়ছিল কিছু দুষ্কৃতী। বারবার নিষেধ করা সত্বেও তারা পাথর ছোঁড়া থামায় নি। এর ফলে পাথর থেকে নিজেদের বাঁচাতে গুলি চালাতে বাধ্য হয় সেনা। এই ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়। জম্মু কাশ্মীর পুলিশ সোপিয়ানের এই ঘটনার জন্য ওই মেজর ও তাঁর ইউনিটের বিরুদ্ধে এফ আই আর দায়ের করে। সেই কারণেই ছেলের পক্ষ নিয়ে বাবা নিজেই এবার সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হয়েছেন।
পিটিশনে তিনি বলেছেন, সেই সব ভারতীয় জওয়ানদের আত্মবিশ্বাসের রক্ষার্থে তিনি আবেদন জানাচ্ছেন যাঁরা বহু বাধা বিপত্তি, দুর্গমতার মধ্যেও দেশের নিরাপত্তা এবং জাতীয় পতাকার মর্যাদা রক্ষা করেন।
উল্লেখ্য, তদন্তেও এটা পরিস্কার হয়ে যায়, জঙ্গি অপারেশনের সময় পাথর ছোঁড়ার হাত থেকে বাঁচতেই গুলি চালায় সেনা। কিন্তু তবু, পুলিশি অভিযোগ তোলা হয় নি। এরই বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হলেন ওই মেজরের বাবা প্রাক্তন লেফট্যানেন্ট কর্ণেল করমবীর সিং। সুপ্রিম কোর্টে পুলিশের এই অভিযোগের বিরুদ্ধে গতকাল একটি পিটিশন দায়ের করে তিনি আপিল করেন যে, এই ক্ষেত্রে একজন সেনা অফিসারের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। এই পিটিশনে আরও বলা হয়েছে যে, পুলিশ কখনই একজন আর্মি অফিসারের বিরুদ্ধে জম্মু ও কাশ্মীরে মামলা দায়ের করতে পারে না। কারণ, জম্মু ও কাশ্মীরে বিশেষ আইন চালু আছে৷ এই আইনে সেনাকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া আছে৷ সেখানে পুলিশ একজন সেনা অফিসারের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে না ৷ তাহলে কি করে জম্মু কাশ্মীর পুলিশ একজন আর্মি অফিসারের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারল, প্রশ্ন তোলা হয়েছে ওই পিটিশনে৷