বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে প্রধানমন্ত্রীর দাবি দেশের জিডিপি বেড়েছে ৬ গুণ

ডাভোস, ২৩ জানুয়ারি (হিঃস)৷৷ ডাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের মঞ্চে দাঁড়িয়ে দেশের অর্থনীতির কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ মঙ্গলবার প্লেনারি সেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, শেষবার ১৯৯৭ সালে কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ডাভোসে এসেছিলেন৷  যখন দেবগৌড়াজি এসেছিলেন, তখন আমাদের দেশের জিডিপি ৪০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি ছিল৷ এখন তা ছ’গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ আন্তর্জাতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে এদিন প্রযুক্তির উন্নয়নের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালে পাখিরা টুইট করত, এখন মানুষ করে৷ তখন ইন্টারনেটে অ্যামাজন লিখলে নদী আর জঙ্গলের ছবি পাওয়া যেত৷ এখন ডেটাই হল সবথেকে বড় সম্পদ৷

এদিনের বক্তব্য মোদী বললেন, ২১ বছরে অনেক কিছু বদলেছে৷ ভারতের জিডিপি বেড়েছে ৬ গুণ৷ ডাক থেকে এখন আমরা টুইটের যুগে প্রবেশ করেছি৷ তবে ডাভোস এখনও সময়ের থেকে এগিয়ে৷ ডাভোস তো শুধু অর্থনৈতিক মঞ্চ নয়, একটা ঐতিহ্য৷ সেখানে সবাই মুখিয়ে থাকে কোনও নতুন ধারণা শুনতে৷ যেমন গতবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অতি রক্ষণশীল নীতির বিপরীতে বিশ্বায়নের হয়ে সওয়াল করে তারিফ কুড়িয়েছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং৷ প্রধানমন্ত্রী মোদীর বক্তব্য শুরুই হল, দেশের সনাতন মুল্যবোধের কথা দিয়ে৷ যেখানে তিনি বলেন, একতা এবং অখন্ডতার মূলবোধে বিশ্বাসী ভারত৷ কিন্তু শান্তিপ্রতিষ্ঠা আর নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ বেড়েছে৷ ভেদাভেদ নয় ঐক্যবদ্ধতায় সমস্যা মিটতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন৷ বিশ্বের পরিবেশ সমস্যা নিয়েও চিন্তার কথা শুনিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ মানুষ এবং প্রকৃতির মধ্যে সামঞ্জস্য দরকার, তবেই মিটবে সমস্যা৷ বিশ্বে কার্বন নির্গমন কমাতে হবে তারজন্য দরকার প্রয়োজন অনুযায়ী প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার৷ তিনি আরও বলেন, জলবায়ুর পরেই সবচেয়ে বড় সমস্যা সন্ত্রাসবাদ৷ ভাল ও খারাপ সন্ত্রাসবাদীর মধ্যে তফাৎ করা হচ্ছে৷ শিক্ষিতরাও সন্ত্রাসের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন৷ এটা মানবতার জন্য সংকট তৈরি করবে তাঁর মতে, ভারতের গণতন্ত্র কোনও ব্যবস্থা নয়, এটা জীবনদর্শন৷ ৩০ বছর পরে এখানে একদলীয় সরকার কায়েম হয়েছে৷ সকলের হয়ে কলের সঙ্গে উন্নয়নই ভারতের লক্ষ্য৷ রিফর্ম, পারফর্ম এবং ট্রান্সফর্মই মূল অস্ত্র৷

ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের সম্মেলনে শুরু আগে সোমবার রাতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সিইও-দের সঙ্গে বৈঠক করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ তবে শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সঙ্গেই নয়, দেশীয় সংস্থাগুলির সঙ্গেও আলাদাভাবে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী৷ বৈঠকে ভারতের বৃদ্ধির কথা এবং ব্যবসায় এদেশে সুযোগ সুবিধা কথা তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের সম্মেলনে শুরু আগে সোমবার রাতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সিইও দের সঙ্গে বৈঠক করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ তবে শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সঙ্গে নয়, দেশীয় সংস্থাগুলির সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী৷ বৈঠকে ভারতের বৃদ্ধির কথা এবং ব্যবসায় এদেশে সুযোগ সুবিধা কথা তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ টুইট করে একথা জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রাভিশ কুমার৷ বিদেশমন্ত্রকের তরফে একটি ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, এদেশে বিনিয়োগের নানা সুযোগ সুবিধার কথা তুলে ধরা হয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে৷ পাশাপাশি অর্থনৈতিক দিক থেকেই দেশের অগ্রগতির বিষয়টিও তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী ৪০ টি আন্তর্জাতিক সংস্তার পাশাপাশি ২০টি ভারতীয় সংস্থার সিইও এদিন গোলটেবিল বেঠক করেন৷

ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে এখন ডাভোসে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের চলাকালীন গ্লোবাল কনসালটেন্সি এজন্সিদের প্রকাশিত সমীক্ষা রিপোর্ট অনুসারে বিশ্বে বিনিয়োগকারীদের পছন্দের তালিকায় পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে ভারত৷ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেন সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট অ্যালাইন বারসেট৷ ভারত-সুইজারল্যান্ড দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং গণতন্ত্র সহ আরও একাধিক বিষয়ে বৈঠক হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে৷ প্রসঙ্গত, ১৯৭ সালের পর প্রায় ২০ বছর পর ফের ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী ফোরাম বৈঠকে অংশগ্রহণ করলেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *