নয়াদিল্লি, ২০ জানুয়ারি (হি.স.): বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে সাক্ষাৎতে সময় শুভেচ্ছা জানাতে তাদের আলিঙ্গন করে থাকেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পরে একাধিক আন্তর্জাতিক সফরে বা কোনও অন্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ভারতে এলে তাদের অভ্যর্থিত করার সময় জড়িয়ে আলিঙ্গন করেন প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিইয়াহুকে বিমানবন্দরে গিয়ে তাঁকে জড়িয়ে ধরে ভারতে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর পরেই প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনায় মুখর হয় প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসে। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ব্যঙ্গাত্মক ভিডিও প্রকাশ করে কংগ্রেস। এই বিষয়ে অবশেষে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ‘আমি প্রটোকলে প্রশিক্ষিত নই। যদি হতাম তবে আমি শুধু হাত মিলিয়ে বাঁ এবং ডান দিক তাকাতাম।’ এর পরে নিজেকে সাধারণ মানুষ হিসেবে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সাধারণ মানুষ। আমি নিশ্চিত করতে চাই আমার দেশের যেন কেউ ক্ষতি না করতে পারে।’ প্রাধানমন্ত্রী পাল্টা দাবি করেন, তার এই আচরণ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান কাছেও প্রশংসিত হয়েছে। আর এটাই তার শক্তি হয়ে উঠেছে। প্রসঙ্গত বিশ্ব সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানের মদত দেওয়াকে রুখতে এবং এশিয়া মহাদেশে ভারত মহাসাগরসহ একাধিক জায়গায় চিনের আগ্রাসনকে রুখতে আন্তর্জাতিক ঐক্যমত ঘটন করতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই ইজরায়েলসহ একাধিক দেশের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক আরও বেশী সুদৃঢ় করার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছেন প্রধানমন্ত্রী। ইজরায়েল যেহেতু সন্ত্রাসবাদের শিকার। তাই তারা ভারতের অবস্থাকে বুঝবে বলে আশা প্রকাশ করেছিল ভারতের কূটনৈতিক মহল। তাই প্রটোকলের তোয়াক্কা না করে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই তাঁকে জড়িয়ে ধরেন তিনি।
উল্লেখ্য, বেশ কিছু দিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর অন্য দেশের রাষ্ট্র প্রধানদের সঙ্গে দেখা হলে আলিঙ্গন করার বিষয়টিকে কটাক্ষ করা হয়েছিল। এর পাল্টা জবাব হিসেবে বিজেপি তরফ থেকে বলা হয় কংগ্রেসের এই আচরণ অপরিণত মানসিকতার পরিচয়। পাশাপাশি কংগ্রেসকে এই বিষয়ে ক্ষমা চাইতেও বলে বিজেপি।