পাথারকান্দি (অসম), ১৪ জানুয়ারি (হি.স.) : বাজারিছড়া থানার অধীন চুরাইবাড়ি ওয়াচ পোস্টের পুলিশ কর্মীদের তৎপরতায় শনিবার ফের লরি সমেত ধরা পড়ল প্রায় তিন লক্ষ টাকার অবৈধ গাঁজা। পুলিশের অভিযানে উদ্ধারকৃত গাঁজাগুলির পরিমাণ প্রায় পাঁচ কুইন্টাল কুড়ি কেজির মতো।
জানা গেছে, শনিবার ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা থেকে এমএল ০১ এ ৪৩৪৪ নম্বরের বারো চাকার খালি লরিটি মেঘালয়ের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছিল। অবশেষে বিকেল চারটে নাগাদ ত্রিপুরা সীমান্তের চুরাইবাড়ি চেকগেট অতিক্রম করে অসম ভূখণ্ডে অবস্থিত চুরাইবাড়ি পুলিশ চেকগেট অতিক্রম করতে যায়। সে সময় অসম পুলিশের সিগন্যাল তোয়াক্কা না করে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ট্রাকটি। কিন্তু কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের এতে সন্দেহ হয়। তারা জিপ নিয়ে পলায়নরত লরির পিছু ধাওয়া করেন। এক সময় অবস্থা বেগতিক দেখে লরিচালক ও সহ-চালক লরিটিকে চুরাইবাড়ি লাগোয়া আট নম্বর জাতীয় সড়কের পান বাজারের পাশে ফেলে রেখে গা ঢাকা দেয়। ততক্ষণে অকুস্থলে দলবলে উপস্থিত চুরাইরাড়ি চেকপোস্টের ইনচার্জ সুপ্রিয় ভট্টাচার্য লরিটিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তল্লাশি চালালে তার ভিতরে গোপন বাক্স থেকে গাঁজাগুলো উদ্ধার করেন।
পরে খবর পেয়ে চুরাইবাড়ি পৌঁছেন বাজারিছড়া থানার ওসি গৌতম দাস। তিনি জানান, লরি-সহ গাঁজাগুলো সোমবার আদালতে সমঝে দেওয়া হবে। বিশ্বস্ত সুত্রের মতে, গত কয়বছর ধরে ত্রিপুরার রাজধানী লাগোয়া বিভিন্ন পাহাড়ি উপজাতি গ্রামে অবাদে চলছে অবৈধ গাঁজার চাষ। এগুলো পাচার হচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যে। আগরতলা থেকে অসমে প্রবেশ করতে হলে সড়কে রয়েছে ত্রিপুরা রাজ্যে সরকারের প্রায় অর্ধশতাধিক চেকগেট। কী করে এতসব গেট অতিক্রম করে অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা বোজাই লরিগুলো অসম-সহ অন্য রাজ্যে প্রবেশ করছে, এমন প্রশ্ন বিভিন্ন সচেতন মহলে উঠছে। গত কয়মাসে প্রায় পঞ্চাশলক্ষ টাকার গাঁজা-সহ প্রায় দশটি লরি ও চালক সহ দশজন ধরা পড়েছে অসম পুলিশের হাতে।