নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩ ডিসেম্বর৷৷ বিজেপির নেটওয়ার্ক রাজ্যে পুলিশের চাইতেও অনেক বেশী শক্তিশালি, তার প্রমাণ মিলেছে৷ শাসক দলের
শীর্ষ নেতা এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন৷ তাই, সাংবাদিক শান্তনু ভৌমিক হত্যাকান্ডে পলাতক আসামী যারা গতকাল বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে সিপিএম৷ বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গৌতম দাশ এই দাবি জানানোর পাশাপাশি আইপিএফটির সাথে জোট নিয়ে বিজেপিকে সমালোচনায় বিধেছেন৷
এদিন তিনি বলেন, বিজেপি রাজ্য দপ্তরে যুব আইপিএফটির পাঁচ নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন৷ তাদের মধ্যে সাংবাদিক শান্তনু ভৌমিক খুনের মামলায় সিটের চার্জশিটে নাম থাকা পলাতক আসামী রমানন্দ দেববর্মা এবং পুশরাই দেববর্মা রয়েছেন৷ তিনি বলেন, সিট গত ১৬ ডিসেম্বর শান্তনু ভৌমিক হত্যাকান্ডে চার্জশিট জমা দিয়েছে৷ তাতে ছয় জন পলাতক আসামীর মধ্যে ঐ রমানন্দ দেববর্মা এবং পুশরাই দেববর্মার নাম রয়েছে৷ এই দুই পলাতক আসামী গতকাল বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন৷ বিষয়টি গভীর চিন্তাজনক বলে গৌতমবাবু দাবি করেন৷ সাথে তিনি ঐ দুই পলাতক আসামীকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য বিজেপির কাছে দাবি জানিয়েছেন৷
এদিকে, প্রশ্ণ উঠে পলাতক দুই আসামী পুলিশের গোয়েন্দাদের নজর এড়িয়ে বিজেপি রাজ্য দপ্তরে কিভাবে এলেন এবং এক্ষেত্রে পুলিশের ব্যর্থতা প্রমাণিত হচ্ছে কি না? জবাবে গৌতমবাবু জানান, পুলিশ তাদের দায়িত্ব ঠিকভাবেই পালন করছে৷ বিজেপির উচিৎ পলাতক দুই আসামীকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া৷ এবিষয়ে যে দাবি তাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে তা পূরণ করা বিজেপির দায়িত্ব, বলেন গৌতমবাবু৷ কিন্তু, প্রশ্ণ উঠে পুলিশ কেন তাদের খুঁজে বের করতে পারল না এবং তাতে সিটের উপর আস্থা রাখা আদৌ সম্ভব কিনা৷ জবাবে গৌতমবাবুর কটাক্ষ, বিজেপির নেটওয়ার্ক রাজ্য পুলিশের চাইতে অনেক বেশী শক্তিশালী৷ তার প্রমাণ ইতিমধ্যে বহুবার মিলেছে৷ তবে, পুলিশ কেন পলাতক দুই আসামী খঁুজে পারল না, সেবিষয়ে সিপিএম প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করবে না, সাফ জানান গৌতমবাবু৷