নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১ জানুয়ারি৷৷ অসমের সীমান্তবর্তী উত্তর-ত্রিপুরার কদমতলা থানার অন্তর্গত জুলাইবাসা গ্রামে দাদাকে
খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে ছোটভাই৷ গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিএত রবিবার গভীর রাতে খুনি হারিস আলিকে অসমের পাথারকান্দি এলাকার বাংলাদশে সীমান্ত থেকে পাকড়াও করেছে কদমতলা থানার পুলিশ৷ সেই সঙ্গে তার হেফাজন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে খুনে ব্যবহৃত লাইসেন্সবিহীন নাইন এমএম পিস্তল৷ ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘাতককে জালে পোরায় সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণ পুলিস প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন৷ মঙ্গলবার ধৃত খুনিকে ধর্মনগর আদালতে সোপর্দ করা হবে৷ ধৃত হারিসের জবানবন্দির সুত্র ধরে ধর্মনগরের এসডিপিও জ্যোতিস্মান দাসচৌধুরীর নেতৃত্বে আ সোমবার কদমতলা থানার ওসি পার্থ চক্রবর্তী-সহ তিন গাড়ি বোঝাই পুলিশ বিশাল বাহিনী নিয়ে আসেন রাতাবাড়িতে৷ তাঁরা লামা রাতাবাড়ি গ্রামের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করেন হারিসের ব্যবহৃত নম্বরবিহীন মারুতি ওয়াগন-আর গাড়ি৷ ঘটনা সম্পর্কে ধর্মনগরের এসডিপিও জ্যোতিস্মান দাসচৌধুরী জানিয়েছেন, সম্পত্তির লোভে ছোট ভাই হারিস বড় ভাই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী লুৎফুর রহমান (৫০) কে তার নাই এমএম পিস্তলের গুলিতে ঝাঁঝলা করে দিয়েছিল৷ ঘটনা গতকাল রবিবার সকাল প্রায় সাড়ে সাতটা নাগাদ ঘটেছিল৷ এরা মূলত কদমতলা থানার উত্তর ফুলবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা৷ বিশিষ্ট হার্ডওয়ার ব্যাবসায়ী ছিলেন লুৎফুর রহমান৷ তাদের ব্যবসা নাগাল্যান্ডের জিমাপুরে৷ বিশেষ কাজে রবিবার কাকভোরে গিয়েছিলেন জুলাইবাসা গ্রামের এক নম্বর ওয়ার্ডের শ্বশুর বাড়িতে৷ তাঁর পিছু ধাওয়া করে সকাল প্রায় সাড়ে সাতটা নাগাদ জুলাইবাসা গ্রামে পৌঁছে যায় লুৎফুর রহমানের ছোট ভাই হারিস আলি (৪০)৷ কেউ কিছু বোঝার আগেই সে বড় ভাইকে লক্ষ করে পিস্তল দিয়ে এলাপাথাড়ি চার রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে পালিয়ে যায়৷ ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন লুৎফুর রহমান৷ সঙ্গে-সঙ্গে হারিসকে ধরে জাল পুরতে ব্যাপক অভিযান চালায় ত্রিপুরা পুলিশ৷ অবশেষে রবিবার রাতে রাতাবাড়িতে তার গাড়ি রেখে পাথারগান্দির টিলাবাড়ি হয়ে লাঠিটিলা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছিল৷ সে সময়ই পুলিশ তাকে পাকড়াও করে৷ এসডিপিও জানান, হারিসের বিরুদ্ধে ৬৬/১৭ নম্বরে ভারতীয় ফৌজদারী দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে৷ কিছুদিন দরে তার দাদাকে খুন করে তাঁর সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিল৷ গত কয়েক বছর আগে হারিস তার দাদাকে নাগা জঙ্গিদের হাতে অপহরণ করিয়েছিল৷ তার নামে একাধিক মামলা রয়েছে পুলিশ ডায়েরিতে৷