নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ নভেম্বর৷৷ দুই মাসের মধ্যে ত্রিপুরায় দুই-দুইজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন৷ সাংবাদিক হত্যাকান্ডের সিবিআই
তদন্তের দাবী জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বার্তা পাঠাল বিজেপির রাজ্য কমিটি৷ বিজেপির রাজ্য কমিটির তরফে পাঠানো বারতায় বলা হয়েছে, রাজ্যের সাংবাদিকরা সাংবাদিক হত্যাাকন্ডের সিবিআই তদন্ত দাবী করছে কিন্তু সাংবাদিক হত্যাকান্ডের তদন্তে রাজ্য সরকার যে সিট গঠন করেছে৷ সাংবাদিক হত্যা কান্ডে রাজ্য পুলিশের আধিকারিকেরাই অভিযুক্ত৷ ফলে নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে সিবিআইকে তদন্ত ভার দেওয়া বিশেষ প্রয়োজন৷ ঘটনার বিবরণ দিয়ে বারতায় বলা হয়েছে, গত ২২ নভেম্বর সকালে ফোন করে টিএসআর দ্বিতীয় ব্যাটেলিয়ানের সদর দফতর আর কে নগর সদর দফতরে ফোন করে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় সাংবাদিক সুদীপ দত্ত ভৌমিককে৷ যথারীতি সেখানে যাবার পর সুদীপ দত্ত ভৌমিকের সাথে দীর্ঘক্ষণ কথাও হয়৷ এরিমধ্যে একটি খাম হারিয়ে যাবার সূত্র ধরে সাংবাদিক সুদীপ দত্ত ভৌমিককে একে একেবারে গায়ে ঠেকিয়ে সিরিজ রাইফেল থেকে গুলি করা হয়৷ ফলে ঘঠনাস্থলেই মারা যায় সাংবাদিক সুদীপ দত্ত ভৌমিক৷ গুলি করার পর প্রায় দুই ঘন্টা ধরে সুদীপের মৃতদেহ ব্যাটেলিয়ান হেড কোয়ার্টারের ভেতরেই ফেলে রাখা হয়৷ সাংবাদিকদের অভিযোগ দীর্ঘ সময় নিহতের দেহ ব্যাটেলিয়ন হেড কোয়ার্টারের ভেতরেই ফেলে রাখা হয়৷ এই সময়ের মধ্যে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ লোপাট করার চেষ্টাও করা হয়৷ দীর্ঘক্ষণ ধরে সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকলেও একফোঁটা রক্তের চিহ্ণ দেখা যায়নি পরে৷ এমনকি কমান্ডেটের রুমেই সাংবাদিককে গুলি করা হলে তার দেহ প্যারেড গ্রাউন্ডে পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়৷ হত্যার পর সাংবাদিকের দেহ লোকানোর চেষ্টা চলছিল বলে অভিযোগ৷ এ কারণেই দেহ টেনে হিঁচড়ে প্যারেড গ্রাউন্ডের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে রাজ্যে সাংবাদিকরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন৷ কিন্তু ঘটনাটি দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়তেই চাপে পড়ে যায় টি এস আর কমাডেন্ট৷ শেষ পর্যন্ত দেহটি প্যারেড গ্রাউন্ডে ফেলে রেখে দেয়৷ এর আগে ২১ সেপ্ঢেম্বর সাংবাদিক শান্তনু ভৌমিককে সুরক্ষা বাহিনীর ঘেরাটোপে আততায়ীরা হত্যা করে৷ যদিও জীবিত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনে পুলিশ৷ কিন্তু জিপের পাটাতনে ফেলে শান্তনু ভৌমিকের দেহের উপর পা রেখে তাকে হাসপাতালে আনা হয় ও কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়৷
2017-11-25
