তের দিন অতিক্রান্ত হলেও সন্ধান মিলেনি নিখোঁজ গাড়ি চালকের, প্রশাসনকে বিঁধলেন বিজেপির প্রদেশ সভাপতি

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২ অক্টোবর৷৷ এখনও নিখোঁজ গাড়ি চালক জীবন দেবনাথ৷ ১৩ দিন অতিক্রান্ত হয়ে যাবার পরেও রাধাপুর এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়া ওই গাড়ি চালকের কোন হদিশ পাওয়া যায়নি৷ সাংবাদিক হত্যাকান্ডের দিনই জীবন দেবনাথ ঘটনাস্থল থেকে নিখোঁজ হন৷ তিনি সেসময় বহিঃরাজ্যের এক সাংবাদিকে নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন৷ খোদ রাজ্য পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, থানার পুলিশ তার সন্ধানে বের হতে তেমন একটা সাহস পাচ্ছে না৷ কারণ যে কোন মুহূর্তে পুলিশ উগ্র সংগঠন গুলোর আক্রমণের শিকার হওয়ার ভয়ে রয়েছে৷ যদিও পুলিশ, আসাম রাইফেলস জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে জীবন দেবনাথের তল্লাশি জারি রেখেছেন বলে রাধাপুর থানার ওসি দিলীপ দেববর্মা দাবী করেন৷ এই ঘটনায় রাজ্যের পরিবহণ শ্রমিকদের একটা বড় অংশের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে৷ উল্লেখ্য, দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের নিবদ্ধ লেখক দিল্লির সজ্জন কুমার রাজ্যে এসে আগরতলার তুলসীবতী সুকল সংলগ্ণ এলাকা থেকে জীবন দেবনাথের গাড়ি ভাড়া নেন৷ তারপর তিনি তাকে ও তার সঙ্গী বিশ্বজিৎ দেববর্মাকে নিয়ে টাকারজলা ও জম্পুইজলা চলে যান৷ সেখান থেকে ফিরে আসার সময় তাদের গাড়ি রাধাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ণ এলাকায় আসতেই তারা পুলিশ এবং উত্তেজিত আইপিএফটি সমর্থকদের খন্ডযুদ্ধর মধ্যে পরেন৷ তাদের গারিটি ভাংচুর করা হয় এবং গাড়িতে অগ্ণিসংযোগ করা হয়৷ সজ্জন কুমার এবং বিশ্বজিৎ দেববর্মা প্রাণ রক্ষা করে পালাতে সক্ষম হলেও ঘটনার পর থেকে গাড়ি চালক জীবন দেবনাথকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না৷ জীবন দেবনাথের উদ্ধারের জন্য তার পরিবারের লোকেরা থানায় ডেপুটেশন দিয়েছেন৷ কিন্তু এতে বিশেষ কোন কাজ হয়নি৷ ভাড়াকরা গাড়ির চালকের হত দরিদ্র পরিবারের সদস্যরা এখন চরম সঙ্কটের সম্মুখীন৷ কারণ পরিবারে তিনিই একমাত্র উপার্জনকারী৷ সাংবাদিক হত্যা কান্ডে সিবিআই তদন্ত কারী করল বিজেপি৷ বিজেপি এই ইস্যুতে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের উত্থাপিত যুক্তির পক্ষে জোরালো শাওয়াল করেছে৷ সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্য বিজেপির সভাপতি বিপ্লব কুমার দেব এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, শান্তনু ভৌমিক হত্যাকান্ড নিয়ে রাজ্য সরকার অনেককিছু আড়াল করতে চাইছে৷ খুনিদের চিহ্ণিত করার বিষয়ে রাজ্য সরকারের কোন সদিচ্ছা নেই৷ তারা এই ইস্যুতে শুধুই রাজনীতি করতে চাইছে৷ তিনি বলেন, মানিক সরকার সিবিআইকে তদন্ত ভার দিয়ে নিজের এবং শাসক দলের স্বচ্ছতা প্রমাণ করতে পারতেন৷ কিন্তু গোপনীয়তা বজায় রাখতে রাজ্য পুলিশকে তদন্ত ভার দেওয়া হচ্ছে৷ যেখানে খোদ রাজ্য পুলিশের কতিপয় কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে৷ বিপ্লব কুমার দেব আরও বলেন, এই হত্যাকান্ডের আগেই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে৷ এই অবস্থায় পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর ও জওয়ানদের সামনেই হত্যাকান্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী নিজের দায়িত্ব এড়াতে পারেন না৷ কারণ স্বরাষ্ট্র দপ্তরের দায়িত্ব তার উপর রয়েছে৷ তিনি বলেন, এই ক্ষমতাসীন সিপিআই অন্য রাজ্যে অনরূপ ঘটনা ঘটলে সিবিআই তদন্ত দাবী করে৷ এই রাজ্যে তারাই এর বিরোধীতা করে৷ এমন দ্বিচারিতা সিপিআইএমের পক্ষেই সম্ভব৷ তবে এদের দিন শেষ হয়ে আসছে৷ এদের শেষের শুরু হয়ে গেছে৷