ঢাকা, ২৩ সেপ্টেম্বর (হি.স.): মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা যাতে ভারতে প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে টহলদারি বাড়ানো হয়েছে বলে বিএসএফ সূত্রের খবর। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, অবৈধ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যবহার করা হচ্ছে দুধরনের গ্রেনেড। এক ধরনের গ্রেনেডের নাম স্টান গ্রেনেড। এছাড়া দ্বিতীয় ধরনের গ্রেনেডগুলি লঙ্কার গুঁড়ো মেশানো।
বিএসএফের উপ-মহানির্দেশক আর. পি. এস জয়সওয়াল বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তের বড় অংশের টহল ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি জানান, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে সীমান্তরক্ষীরা লঙ্কার গুঁড়ার গ্রেনেড ও স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করছে।
স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করে মানুষকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। এর শব্দ ও আলোর ঝলকানি মানুষকে অচেতন করে ফেলে কিন্তু শারীরিকভাবে আহত করে না। আর লঙ্কার গুঁড়োর গ্রেনেড ব্যবহারে শরীর জ্বলে যায়।
অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের উত্তরে কোচবিহার সীমান্তে রোহিঙ্গাদের ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা থাকায় কড়া নজরদারি চালাচ্ছে বিএসএফ। বিএসএফের নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, আশ্রয়ের খোঁজে কোচবিহারের সীমান্তে রোহিঙ্গারা ঢুকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সেখানে তাই বিএসএফের ট্রুপ মোতায়েন করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত চার দিনে অন্তত ৪৬ জন রোহিঙ্গা যারা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল তাদের আটকেছে বিএসএফ। তাদের গ্রেফতার করে জেলে রাখা হয়েছে বলে বিএসএফ সূত্রের খবর।
সমুদ্রপথ ব্যবহার করে রোহিঙ্গা মুসলিমরা ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করতে পারে- এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সমুদ্রপথ দিয়ে রোহিঙ্গারা যাতে ভারতে প্রবেশ না করতে পারে সেজন্যে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে ভারত। জানা গিয়েছে, সমুদ্রসীমা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর অত্যাধুনিক ‘ডর্নিয়ার’ মেরিটাইম পেট্রোল উড়োজাহাজ, হোভারক্রাফট এবং জাহাজ টহলের ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে।
2017-09-23