হায়দরাবাদ, ২১ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : বিয়ের নাম করে নারী পাচার করার কান্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে আটজন আরব শেখকে গ্রেফতার করেছে হায়দরাবাদ পুলিশ।এর মধ্যে পাঁচজন ওমানের বাসিন্দা ও তিনজন কাতারের বাসিন্দা।
সূত্র থেকে জানা গিয়েছে রাজ্যের গরিব পরিবারের মেয়েদের বিলাসবহুল জীবনের স্বপ্ন দেখিয়ে আরব শেখদের সঙ্গে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। পরে সেইসব মেয়দের মোটা অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করে দেয় শেখেরা। এমনকি কিছু কিছু মেয়েকে বিয়ে করে নিয়ে গিয়ে ক্রীতদাস বানিয়ে রাখে তারা।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে এই ধরণের একটি চক্র গোটা হায়দরাবাদ জুড়ে কাজ করছে। তারাই আরবের শেখদের সঙ্গে গরিব পরিবারের মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার কাজ করে। এর বিনিময়ে মোটা টাকার কমিশন আরব শেখদের কাছ থেকে পায় এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকা দালালরা। পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের কথায় আরব শেখদের পুলিশের নজর থেকে বাঁচানো জন্য অটোওয়ালা, এমবাসেডরওয়ালা এবং ইনোভাওয়ালা ছদ্মনামে ডাকা হত। পুলিশের তদন্তে বলা হয়েছে ধৃত এক শেখের বয়স ৮০। তদন্ত আরও জানা যাচ্ছে শেখদের সামনে নাবালিকা মেয়েদের রীতিমত প্যারেড করানো হত। তারপর মেয়েটির দাম ঠিক করা হত। এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত ৩৫ জন দালালের খোঁজ করছে পুলিশ।
হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার মহেন্দ্র রেড্ডি জানিয়েছেন, এইসব মেয়েদের বিয়ে করে নিয়ে গিয়ে আরব দেশে গণধর্ষণ করা হয়। পরে অন্য কারও কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। তিনি জানান গ্রেফতার হওয়া ৮ জনের মধ্যে আবদুল্লা নামে এক শেখ বিয়ের নাম করে এর আগে ১০ জন মেয়েকে ধর্ষণ করেছে।
2017-09-21