ওয়াশিংটন, ২০ আগস্ট (হি.স.) : প্রায় শতবর্ষ পর পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখতে মুখিয়ে আমেরিকাবাসী | ১৯১৮ সালের ৮ জুনের পর সোমবার মধ্যাহ্ণে আমেরিকার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত এই প্রথম পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। আর কোটি কোটি মানুষ এখন সেই সূর্যগ্রহণ দেখার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এবার এই সূর্যগ্রহণ যারা সরাসরি দেখবেন, তাদের সংখ্যা নাকি আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। আমেরিকান অ্যাস্ট্রনমিক্যাল সোসাইটির জ্যোতির্বিজ্ঞানী রিক ফিয়েনবার্গ দাবি করেন, ‘এটা নিশ্চিতভাবেই মানব ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি মানুষের দেখা সূর্যগ্রহণ হতে যাচ্ছে’|
সোমবার পৃথিবীর ওপর চাঁদের যে ছায়া পড়বে, তার সবচেয়ে ঘন অংশটির আয়তন হবে ৭০ মাইল চওড়া এবং আড়াই হাজার মাইল দীর্ঘ। যুক্তরাষ্ট্রের মোট ১৪টি অঙ্গরাজ্যেও ওপর পড়বে এই ছায়া। অর্থাৎ এসব জায়গা থেকে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। কাজেই লাখ লাখ মানুষ এখন সরাসরি পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখার জন্য এই বিস্তীর্ণ অঞ্চলের শহর-গ্রামে ভিড় করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। অনেক জায়গাতেই সূর্যগ্রহণ দেখার জন্য উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে গান, যোগ ব্যায়ামের চর্চা থেকে শুরু করে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের লেকচার—সব আয়োজনই থাকছে।
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ পৃথিবীর একটা বিরাট অঞ্চল জুড়ে দেখা যাওয়ার ঘটনা খুব বিরল।সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে এবং সস্তার অত্যধুনিক অপটিক্যাল যন্ত্রপাতির সহজলভ্যতার কারণে এবার এ নিয়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহও ব্যাপক। সকালে প্যাসিফিক উপকূলের ওরেগনের মানুষ প্রথম এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখার সুযোগ পাবেন। এরপর এটি আটলান্টিক উপকূলের সাউথ ক্যারোলিনার মানুষ দেখার সুযোগ পাবেন আরও ৯০ মিনিট পর।
সূর্যগ্রহণ দেখার জন্য বাজারে ছাড়া হয়েছে ‘সোলার সেফ সানগ্লাস’। সেগুলো বিক্রি হচ্ছে দেদারসে।