হাফলং (অসম), ১২ আগস্ট, (হি.স.) : লাগাতার বৃষ্টির জেরে ডিমা হাসাও জেলার স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ার পাশাপাশি হাফলং-শিলচর ৫৪
নম্বর জাতীয় সড়ক বেহাল হয়ে পড়েছে। তবে গুয়াহাটি-শিলচর ব্রডগেজ রেলপথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও বড়াইলে এক নাগাড়ে বৃষ্টিতে লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ রেলপথের মাইগ্রেনডিসা ও নিউহাফলং-জাটিঙ্গা লামপুরের মধ্যবর্তী এলাকা বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। যে কোনও মূহূর্তে ধস নেমে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে।
বিষয়টির প্রতি লক্ষ রেখে এ সব অংশে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষ সতর্ক দৃষ্টি রেখে চলছে। বিশেষ করে লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ রেলপথের নিউহাফলং এবং নিউ-জাটিঙ্গা স্টেশনের মধ্যে চারটি স্পর্শকাতর এলাকায় চারটি ওয়াচ টাওয়ার বসানো হয়েছে। ওই ওয়াচ টাওয়ার থেকে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা রেলকর্মীরা এ সব অংশে সতর্ক দৃষ্টি রেখে চলেছেন যাতে ধস নেমে ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত না হয়।
এদিকে ওই রেলপথের ধসবিধ্বস্ত মাইগ্রেনডিসা দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলি ঘন্টায় ৫ কিলোমিটার গতিবেগে চলাচল করছে এবং নিউহাফলং থেকে নিউ-জাটিঙ্গা লামপুর অংশে সাবধানতা অবলম্বন করে ১০ কিলোমিটার গতিবেগে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলি চলাচল করছে। এমন-কি এ সব অংশ দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর আগে রেলযাত্রীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে পাইলট ট্রেন হিসেবে মালগাড়ি চালানো হচ্ছে প্রত্যেকটি যাত্রীবাহী ট্রেনের আগে। এই অংশগুলি দিয়ে মালগাড়ি নির্বিঘ্নে পার হওয়ার পর যাত্রীবাহী ট্রেন পার করানো হচ্ছে যাতে রেলযাত্রীদের দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে না হয়।
এদিকে আগরতলা থেকে দিল্লিগামী রাজধানী এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্গাপূজার আগে চলার কোনও সম্ভাবনা দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা। কেননা, বর্ষার মরশুমে লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ রেলপথে নতুন কোনও ট্রেন চলাচলের সম্ভাবনা নেই বলেই উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের এক সূত্র জানিয়েছে।
2017-08-12

