নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা,৯ আগষ্ট৷৷ রাজ্য সফরে এসে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানিয়ে গিয়েছিলেন রাজ্যে জানানীতেল নিয়ে
সমস্যা নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ সে অনুযায়ী জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হল ৩০ হাজার কিলোমিটার ক্ষমতা সম্পন্ন সেকেরকোট আইওসি’র ডিপোর জন্য৷ খরচ হবে ৫৫০ কোটি টাকা৷ কেন্দ্রীয় সরকার সেকেরকোটে একটি আইওসি’র ডিপো নির্র্মণের জন্য অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে৷ কেন্দ্রীয় নির্দেশ অনুযায়ী শুরু হয়ে গেছে এই প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া৷ সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ভানুলাল সাহা৷ মহাকরণে তিনি সাংবাদিকদের জনান, সেকেরকোটে এফসিআইয়ের গোডাউনের পাশেও এই ডিপোটি হবে৷ এরজন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে৷ ৬০ টির মত পরিবারকে এরজন্য অন্যত্র পুনর্র্বসন দিতে হবে৷ ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক জমি অধিগ্রহণের জন্য ৫০ শতাংশ টাকা দিয়ে দিয়েছে৷ এই ডিপোটিতে ৩০ হাজার কিলোলিটার জ্বালানী তেল মজুত রাখার ব্যবস্থা থাকবে৷ জ্বালানী তেলের পাশাপাশি বোধজংনগরে একটি গ্যাস বটলিং প্ল্যান্টও স্থাপন করা হচ্ছে৷ সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তার শিলান্যাসও করে গেছেন৷ ২০১৯ সালের মধ্যে এই প্রকল্পে কাজটি সম্পূর্ণ হয়ে যাবে৷ আর তা হয়ে গেলে এখান থেকে প্রতিদিন অন্ততঃ ১৮ হাজার সিলিন্ডার বটলিং করা সম্ভব হবে৷ ত্রিপুরাতে এখন মোট দৈনিক চাহিদা রয়েচে ১০ হাজারের মত সিলিন্ডার৷ বর্তমানে বিশালগড় বটলিং প্ল্যান্ট থেকে দৈনিক ৬ হাজারের মত সিলিন্ডার বটলিং সম্ভব হবে৷ বাকি ৪ হাজারের মত সিলিন্ডারের যোগান আসছে শিলচর থেকে৷ এছাড়া আগরতলা শহরে ২৯ হাজার বাড়িতে পিএনজি তথা রান্নার গ্যাসের সংযোগ রয়েছে৷ আগরতলায় আরও ১০ হাজার বাড়িতে গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হবে বলে রাজ্য সরকারকে জানিয়ে গেছেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান৷ এছাড়া, আগরতলা শহরে আরও ৩টি সিএনজি স্টেশন স্থাপন করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন দফতরের মন্ত্রী ভানুলাল সাহা৷ এদিকে জানাগেছে, এই ব্যবস্থা গুলো না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ দিয়ে সংকট জনক পরিস্থিতিতে জ্বালানী তেল নিয়ে আসার ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানাগেছে৷
2017-08-10

