শপথ নিল ৪৬ সদস্যের পাক মন্ত্রিসভা

ইসলামাবাদ, ৪ আগস্ট (হি.স.) : পাকিস্তানে শপথ নিল ৪৬ সদস্যের মন্ত্রিসভা । শুক্রবার স্থানীয় সময় সকালে ইসলামাবাদ প্রেসিডেন্সিতে শপথ নেয় পাক প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খাকান আব্বাসির ৪৬ সদস্যের মন্ত্রিসভা। এদিন মন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করান প্রেসিডেন্ট মামুন হুসেন।

নতুন মন্ত্রিসভায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের মন্ত্রিসভার বেশির ভাগ মন্ত্রীই ঠাঁই পেয়েছেন। শুধু ছয় জন ফেডারেল এবং ১২ জন প্রতিমন্ত্রী নতুন এসেছেন। তবে কয়েকজন পুরনো মন্ত্রীর মন্ত্রণালয় অদলবদল হয়েছে। পিএমএলএন সুপ্রিমো নওয়াজ শরিফ, প্রধানমন্ত্রী আব্বাসি এবং পাক পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে কয়েকদফা আলোচনার পরই নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঠিক করা হয়েছে। ৪৬ সদস্যের মন্ত্রিসভায় রয়েছেন ২৮ জন ফেডারেল এবং ১৮ জন রাষ্ট্রমন্ত্রী।

২০১৩ সাল থেকে শূন্য দেশটির গুরুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ | এর আগে এই পদে ছিলেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির হিনা রাব্বানি খার । নতুন মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যদের মধ্যে আছেন, আহসান ইকবাল অভ্যন্তরীণমন্ত্রী, খ্বোজা মুহাম্মদ আসিফ বিদেশমন্ত্রী,খুররম দস্তাগির প্রতিরক্ষামন্ত্রী, পারভেজ মালিক বাণিজ্যমন্ত্রী হয়েছেন। পিএমএলএনের বর্ষীয়ান নেতা ইশাক দার তাঁর আগের অর্থমন্ত্রকই ফিরে পেলেন। মারিয়াম অওরঙ্গজেবও তাঁর আগের মন্ত্রক তথ্য ও সম্প্রচারের প্রতিমন্ত্রকে ফেরত গেলেন। তেমনই অনুশা রহমান তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিকমমন্ত্রী এবং আফজল তারার স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীই থাকলেন।

প্রসঙ্গত, পানামা পেপার্স দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট নওয়াজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার অযোগ্য ঘোষণা করলে গত শুক্রবার তিনি পদত্যাগ করেন। অবশ্য নিজেকে নির্দোষ দাবি করছেন তিনি। পরে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সাবেক পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী শহীদ খাকান আব্বাসিকে বেছে নেন নওয়াজ।

দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজের ভাই শাহবাজ শরিফকে বেছে নিলেও আপাতত তিনি ওই পদে বসতে পারছেন না। যে কারণে অন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আব্বাসি। শাহবাজ গণপরিষদে নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত আব্বাসি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সামলাবেন। শাহবাজ শরিফ বর্তমানে পাকিস্তানের পাঞ্জাব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

উল্লেখ, পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে এখনো সংখ্যাগরিষ্ঠ পিএমএল-এনের নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক জোট। ৩৪২টি আসনের মধ্যে ২০৯টি আসন আছে এই জোটের দখলে। সেই হিসাবে ২০১৮ সালে পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে পারবে দলটি।