স্ব-সহায়ক দলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি, বক্সনগর, ২৯ ডিসেম্বর৷৷ বক্সনগর রতনদোলা গ্রামের দরিদ্র শ্রেণীর লোকজন গত ২০০৮ সালে মোট ১৩ জন সদস্য/সদস্যা মিলিয়ে বাবা তারক নাথ স্বসহায়ক দল সৃষ্টি করেন জীবনজীবিকা যাতে ভালোভাবে তৈরি করা যায় নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য স্বসহায়ক দলের প্রতিষ্ঠা৷ বেশ কয়েক বছর ভালই চলছিল মাসিক কিস্তিও সদস্যসদস্যারা ঠিক ঠিকভাবে জমা দিতেন ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাঙ্ক তাদের লেনদেন এবং পরিষেবা প্রশংসিত হয়েই তারকনাথ সেলফ হেলফকে লোন প্রদান করেন৷ স্বসহায়ক দলের লিডার এবং ডেপুটি লিডার টি জে বি থেকে লোন গ্রহণ করেন৷ যথাক্রমে প্রভা দাস এবং গীতা মজুমদার উনারা দুজনেই গ্রুপের টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে দলের অন্য সদস্যরা অভিযোগ করেন৷ কয়েকবার মিটিং ডেকেও সঠিক হিসাব দিতে পারছে না বলে  জানান এক সদস্যা মঞ্জলী নমঃ৷ বিগত ২০১১ সালের মাঝামাঝি সময়ে এসএইচজি দলটি বন্ধ হয়ে যায়৷ ব্যাঙ্কে যত সব আর্থিক লেনদেনের গুরুদায়িত্ব লিডার এবং ডেপুটি লিডারের উপর ন্যস্ত৷ মঞ্জলী নমঃ জানান  এসএইচজি গ্রুপ থেকে কোন লোন নেয়নি৷ কেন গ্রামীণ ব্যাঙ্কের লোন ম্যানেজার মনোজবাবু আমার স্বামীর বেতনের পুরো টাকা কেটে নেবেন৷ বক্সনগর হাসপাতালে চুক্তিবদ্ধ সামান্য একজন সুইপার উনি ৩২০০ টাকা মাসিক বেতন পান৷ তার উপর আমাদের সংসার চলে৷ গত ০৭/১২/২০১৬ প্রিয়লাল দাস ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাঙ্কে বেতন তোলার জন্য যান৷ ম্যানেজার বাবু বলেন তারক নাথ এসএইচজি দলের লোন আছে৷ সেজন্য তিনি টাকা তুলতে পারবে না৷  ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করে কোন কর্মচারীর বেতন থেকে টাকা কেটে রাখতে পারে না৷ আগাম নোটিশ বা সুকোজ জারিও করেননি বলে জানান প্রিয়লাল দাস৷ বর্তমানে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের তুঘলকি সিদ্ধান্তের ফলে সুইপার প্রিয়লাল দাসের পরিবার অর্ধহারে দিন কাটাচ্ছে৷ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ করেও কোন লাভ হয়নি৷ তাই ফিল্ড সুপারভাইজার এবং ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের বিরুদ্ধে কলমচৌড়া থানায় মামলা দায়ের করেন৷ উক্ত বিষয়গুলির সরজমিনে তদন্তক্রমে সুবিচার পাওয়ার প্রার্থনা  এবং বেতন ফেরত পাবার জন্য প্রশাসনিক দৃষ্টি আকর্ষণ করছে মঞ্জলী নমঃ৷