ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে ত্রিপুরা, জানালেন মিশন অধিকর্তা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ ডিসেম্বর৷৷ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুবিধাভোগীদের সরাসরি সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে ত্রিপুরা

সোমবার আগরতলায় রাজ্য সরকারের অর্থদপ্তর ও ভারত সরকারের ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফারের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালা৷ ছবি নিজস্ব৷
সোমবার আগরতলায় রাজ্য সরকারের অর্থদপ্তর ও ভারত সরকারের ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফারের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালা৷ ছবি নিজস্ব৷

সুবিধাজনক স্থানে রয়েছে বলে প্রশংসা করলেন ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার মিশনের অধিকর্তা জি এস শেখাওয়াত৷ সোমবার আগরতলা প্রজ্ঞা ভবনে ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফারের উপর এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়৷ রাজ্য সরকারের অর্থদপ্তর ও ভারত সরকারের ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফারের উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মশালায় রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চস্তরীয় আধিকারিকগণ, কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কয়েকটি প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন৷
এদিন এই কর্মশালায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার মিশনের অধিকর্তা জি এস শেখাওয়াত ত্রিপুরার প্রশংসা করে বলেন, সুবিধাভোগীদের সরাসরি সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে রাজ্য যথেষ্ট এগিয়ে রয়েছে৷ শুধু উত্তরপূর্বাঞ্চলই নয়, সমগ্র দেশের উন্নত রাজ্যগুলির সমপর্যায়ে রয়েছে ত্রিপুরা৷ সাক্ষরতায়ও এই রাজ্য শীর্ষ স্থানে রয়েছে৷ ফলে, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাগুলি সহজেই মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে৷
এদিন, কর্মশালার উদ্বোধন করে প্রধান সচিব ড জি এস জি আয়েঙ্গার বলেন, ব্যাঙ্কের একাউন্টের মাধ্যমে রাজ্যে ৩/৪ বছর থেকেই অনেকগুলি প্রকল্পের সুবিধা ভোগীদের অর্থ প্রদান করা হচ্ছে৷ এখন এই পদ্ধতিতে ১০০ শতাংশ সুবিধাভোগীদের ব্যাঙ্ক একাউন্টের মাধ্যমে ভাতা প্রদান করা হয়৷ তিনি বলেন, এম জি এন রেগা যুক্ত সমস্ত শ্রমিকদের মজুরি ব্যাঙ্ক একাউন্টের মাধ্যমে প্রদান করা হয়৷ এছাড়া রাজ্যে চালু ২৮টি সামাজিক ভাতা প্রকল্পের সব সুবিধা প্রাপকদেরও তাদের ব্যাঙ্ক একাউন্টের মাধ্যমে প্রতিমাসে ভাতা প্রদান করা হয়৷ এই পদ্ধতি যেমন ইন্দো-জামান, জাইকা প্রকল্পে প্রযোজ্য তেমনি কর্মচারীদের বেতন, পেনশনভোগীদের পেনশনও তাদের ব্যাঙ্ক একাউন্টের মাধ্যমে প্রদান করা হয়৷ তিনি আরো জানান, আধার কার্ড কভারেজের ক্ষেত্রে ত্রিপুরা দেশে শীর্ষে রয়েছে৷ তেমনি আধার বেইস ব্যাঙ্ক পেমেন্টের ক্ষেত্রে ত্রিপুরা ৬০৬ শতাংশ সাফল্য অর্জন করে দেশে শীর্ষে রয়েছে৷ অন্যদিকে রাজ্যে ৫ থেকে ৬ লক্ষ এসটি, এস সি, ও বি সি,সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের ব্যাঙ্ক একাউন্টের সাথে আধার কার্ড সংযুক্তির মাধ্যমে স্টাইপেন্ড দেওয়ার কাজ চলছে৷