নিজস্ব প্রতিনিধি, বক্সনগর, ২২ অক্টোবর৷৷ শিক্ষাই হচ্ছে জাতির মেরুদন্ড৷ পৃথিবীর কোন জাতিই শিক্ষা ছাড়া উন্নতি ঘটাতে পারেনা৷ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যারা শিক্ষকতা করেন, তাদের একাংশের আচার আচরন নিয়ে প্রশ্ণ উঠছে৷ ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন ব্যবহার প্রায়ই শোনা যায়৷ শিক্ষক দ্বারা ছাত্রীকে ধর্ষণ৷ এমনকি শ্লীলতাহানির মত ঘঠনাও ঘটে থাকে৷ তারই মধ্যে সোনামুড়া মহকুমার বনেদী সুকল হিসাবে পরিচিতি লাভ করে বক্সনগর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়৷ বক্সনগর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে ইংরেজী বিষয় শিক্ষক আশীষ দাসের বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিন ধরে ছাত্রীদের প্রতি কুনজর এবং শ্লীলতাহানির মত অভিযোগ উঠছে৷ ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীরা শিক্ষকের নোংরামী এবং অসভ্যতামীগুলি তুলে ধরে প্রধান শিক্ষক সদানন্দ দেববর্মার কাছে৷ তিনিও এখন পর্যন্ত কোন রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি৷ আশীষ দাসের শিক্ষক হিসাবে ভবের পাগল বলে গোটা এলাকায় প্রচার হয়ে গেছে৷ তিনি মোবাইলে গান লোড করেন এবং ছবি তুলেন৷ রোমাঞ্চ করার জন্য এবং চিত্র জগতের নৃত্য করার জন্যই ছাত্রীদের হাত ধরে টানা হেছরা করেন বলে অভিযোগ৷এই সব বিষয়গুলি ছাত্রীরা বাড়ীতে গিয়ে অভিবাকদের জানায়৷ ঐ শিক্ষকের জন্য বিদ্যালয়ে যেতে চায়না ছাত্রীরা৷ উক্ত বিষয়গুলি সুকল মেনেজম্যান্ট কমিটিকেও জানিয়েছেন অভিভাবকরা৷ কিন্তু, কোন রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি৷ আজ বাধ্য হয়েই ছাত্র ছাত্রীদের অভিবাবক প্রায় কয়েক শত লোক একজোট হয়েই প্রধান শিক্ষকের নিকট ডেপুটেশান প্রদান করেন৷ অবিলম্বে কলঙ্ককারী শিক্ষককে বদলীর জন্য জোড়ালো দাবী করেন৷ পাশাপাশি উপযুক্ত শাস্তির দাবীও উঠেছে৷ অভিবাবক মহলে বিভিন্ন প্রশ্ণ ওঠছে-যে তাহলে আমরা বিদ্যালয়ে কিভাবে ছাত্রীদের পড়াশুনা করার জন্য পাঠাব৷ যেখানে মান সম্মান ইচ্ছতের প্রশ্ণের সম্মুখীন৷ কি দেবেন পাঠ দান৷ তাদের মনমানষিকতা খুবই খারাপ৷ তাই অভিবাবকের দাবী ঐতিহ্যবাহী দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালটির প্রতি সরকার যাতে নজর দেয়৷ অন্যথায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য এলাকার অভিভাবকরা বৃহত্তর আন্দোলন সংগঠিত করবে৷ এখন দেখার এদিনের ডেপুটেশনের পর সুকলের প্রধান শিক্ষক ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেন৷
2016-10-23

