নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১ অক্টোবর৷৷ গত ২৩ সেপ্ঢেম্বর রাতে পূর্ব আগরতলা থানার অন্তর্গত দক্ষিণ চন্দ্রপুর গ্রামের এক নাবালিকা ছাত্রীকে এলাকার ৫৫ বছর বয়সী ইউসুফ মিয়া নামে এক কুখ্যাত দুষৃকতকারী ঐ ছাত্রীর মা-বাবার অবর্তমানে বাড়িতে প্রবেশ করে ভীতি প্রদর্শন পূর্বক ঐ নাবালিকা সুকল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে৷ ঘটনার সময় ঐ সুকল ছাত্রীর মা-বাবা চন্দ্রপুরে তাহাদের ক্ষুদ্র চা দোকানে ছিল এবং বাড়িতে ঐ নাবালিকা ছাড়া অন্য কোন লোক ছিল না৷ পরবর্তী সময়ে নাবালিকার মা-বাবা বাড়িতে ফিরে এসে মেয়ের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত জানতে পারে৷ এই ব্যাপারে পরদিন স্থানীয় মাতববরদের ঘটনা জানালে জনাধর্ন নামীয় (সিপিএম)-এর ক্যাডার অন্যান্য দলীয় লোকদের সহায়তায় ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার প্রস্তাব দেয় এবং এব্যাপারে থানা পুলিশ না করার জন্য নির্যাতিত পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করে৷ কিন্তু এই ধরনের বর্বরোচিত ধর্ষণের ঘটনায় গ্রাম্য সালিশীর বিচার নাবালিকার পরিবার মেনে নিতে পারে নাই৷ তাই গত ২৫সেপ্ঢেম্বর নির্যাতিত পরিবারের পক্ষ থেকে পূর্ব আগরতলা থানায় গিয়ে দুষৃকতীকারীর নামধাম সহ লিখিতভাবে মহিলা থানায় এক এফআইআর দায়ের করেন এবং আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান৷ কিন্তু পূর্ব আগরতলা মহিলা থানা এই ঘটনার কোন মামলা না নিয়ে স্থানীয় সিপিআইএম নেতৃত্বের চাপে ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে৷
শনিবার এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সহ সভাপতি সুবল ভৌমিকের নেতৃত্বে অন্যান্য কর্মী সমর্থকগণ নির্যাতিতা নাবালিকা ও তার মা-বাবা সহ পূর্ব আগরতলা মহিলা থানায় গিয়ে ডিউটি অফিসারের সঙ্গে মামলার তদন্ত ও আসামী গ্রেপ্তারের ব্যাপারে আলোচনা করেন৷ বিজেপির নেতৃবৃন্দ থানা কর্তৃপক্ষের কর্তব্যের অবহেলা, এই বর্বরোচিত ঘটনার ব্যাপারে কোন এফআইআর গ্রহণ না করা এবং ঘটনার ৮দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও তদন্ত কার্য শুরু না করার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং অবিলম্বে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তক্রমে আসামীর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানান৷
বিজেপির নেতৃবৃন্দ সহ নির্যাতিতার পরিবার মহিলা থানায় যাওয়ায় স্থানীয় সিপিআইএম আশ্রিত দুষৃকতীকারীরা জনার্ধনের নেতৃত্বে এদিন বিকালে নাবালিকার পরিবারের উপর চড়াও হয় এবং তাদের দায়ের করা এফআইআর থানা থেকে প্রত্যাহার করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে৷ এই সংবাদে প্রদেশ বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি টিংকু রায়, প্রদেশ মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদিকা পাপিয়া দত্ত ও ডালিয়া সিংহ এবং বিজেপি কর্মী কৃষ্ণধন দাস সহ এক প্রতিনিধি দল দক্ষিণ চন্দ্রপুর নির্যাতিতা পরিবারের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন এবং দলের পক্ষ থেকে তাদের আইন সঙ্গত বিচার পাওয়ার ব্যাপারে সর্বোতভাবে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেন৷ বিজেপি এই ঘটনায় সিপিআইএম দলের নগ্ণ দলবাজি এবং নির্যাতিতা দরিদ্র নাবালিকার আইনগত বিচার থেকে বঞ্চিত করার অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানায়৷
2016-10-02

