নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ সেপ্ঢেম্বর৷৷ রাজ্যে জলবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও তা পুরোপুরি আয়ত্বে আনা সম্ভব হয়নি৷ ধলাই জেলার বিভিন্ন স্থানে এবছর এখনো পর্যন্ত সরকারি তথ্য অনুযায়ী জলবাহিত রোগে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ আক্রান্ত হয়েছেন আরো বহু মানুষ৷ জনসচেতনতার মধ্য দিয়েই জলবাহিত রোগ মোকাবেলা করা সম্ভব৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও জলবাহিত রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে৷ আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে গোটা বিশ্বকে ডায়েরিয়া ও নিমোনিয়া মুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷ এরই অঙ্গ হিসেবে মঙ্গলবার ধলাই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের উদ্যোগে আমবাসায় একদিনের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়৷
প্রতিদিন ডায়েরিয়া ও নিমোনিয়ার বহু মানুষের জীবনহানি ঘটছে৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডায়েরিয়া ও নিমোনিয়া মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে৷ আমাদের রাজ্যেও এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের যাবতীয় উদ্যোগ গৃহীত হয়েছে৷ কেননা, আমাদের রাজ্যেও প্রতিবছর ডায়েরিয়া ও নিমোনিয়ায় বহু মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে, জীবনহানি ঘটে চলেছে৷ সে কারণেই ত্রিপুরার প্রতিটি জেলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে৷ এরই অঙ্গ হিসেবে মঙ্গলবার ধলাই জেলার আমবাসায় ডায়েরিয়া ও নিমোনিয়া মোকাবেলা সংক্রান্ত একদিনের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়৷ স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ দপ্তর আয়োজিত কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন ধলাই জেলার জেলাশাসক বিকাশ সিং, জেলাসভাধিপতি শৈলেশ আচার্য, ইউনিসেফ রিজিওনাল কনসালটেন্সি ডা সোনালিজী, ধলাই জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা মৃণাল কান্তি সাহা প্রমুখ৷ কর্মশালায় জেলাশাসক সহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন৷
কর্মশালায় ধলাই জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা অংশ নেন৷ স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্যানুযায়ী ডায়েরিয়া ও নিমোনিয়ায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে৷