নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ সেপ্ঢেম্বর৷৷ আসন্ন দুর্গাপুজাতে চাঁদার জুলুম বন্ধের জন্য কঠোর হয়েছে পুলিশ প্রশাসন৷ বেশ কিছু নীতি নির্দেশিকা পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে ক্লাব, সংস্থা ও পুজা উদ্যোক্তাদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে৷ এই সব নীতি নির্দেশিকা মেনেই পুজার আয়োজন করতে হবে বলে কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে৷ বিশেষ করে চাঁদার জুলুম নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের সতর্ক বার্তার প্রেক্ষিতেই এবারের পুজায় চাঁদা নিয়ে পুলিশ প্রশাসন কঠোর মনোভাব গ্রহণ করেছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে৷
মঙ্গলবার রাজধানী আগরতলা শহরের মাতঙ্গিনী প্রীতিলতা সভাগৃহে অন্যান্য বছরের মতো এবারেও পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন ক্লাব, সংস্থার কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ বৈঠকে পুলিশ প্রশাসনের পদস্থ আধিকারীকরা উপস্থিত ছিলেন৷ সদর মহকুমা শাসকও উপস্থিত ছিলেন৷ বৈঠকে শারদোৎসবকে শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে ক্লাব ও সংস্থার কর্মকর্তাদের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে৷ পাশাপাশি পুজা নিয়ে প্রশাসনের তরফ থেকে বেশ কিছু নীতি নির্দেশিকা আরোপ করা হয়েছে৷
যেসব নীতি নির্দেশিকা আরোপ করা হয়েছে সেগুলির মধ্যে রয়েছে, প্রতিটি ক্লাব বা সংস্থার সভাপতি ও সম্পাদকের স্বাক্ষর থাকতে হবে চাঁদার রসিদে৷ চাঁদার রসিদ বইয়ের প্রতিটি রসিদে ক্রমিক নম্বর থাকতে হবে৷ প্রতিটি চাঁদার রসিদ বইয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার থানা বা পুলিশ ফাঁড়িতে ভেরিফিকেশন করে সিলমোহর লাগিয়ে নিতে হবে৷ চাঁদা সংগ্রহের জন্য দুই জনের বেশী লোক যেতে পারবে না চাঁদাদাতার কাছে বা বাড়িতে৷ পাশাপাশি যে জায়গায় বা জমিতে পুজা করা হবে তথা প্যান্ডেল তৈরী করা হবে সেই জমির বা জায়গার মালিকের কাছ থেকে অনুমতিপত্র নিতে হবে৷ সেই অনুমতিপত্র পুলিশ প্রশাসনের কাছে পুজার অনুমতির জন্য যে আবেদন করা হবে সেই আবেদন পত্রের সাথে দাখিল করতে হবে৷ সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ দপ্তর, আগরতলা পুর নিগম, অগ্ণিনির্বাপক দপ্তর, ট্রাফিক বিভাগ এবং টেলিযোগাযোগ বিভাগের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে৷ সেই সব অনুমতিপত্রও আবেদন পত্রের সাথে দাখিল করতে হবে পুলিশ প্রশাসনের কাছে৷ এদিকে, পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে চাঁদার রসিদ বই যে ছাপাখানা থেকে ছাপানো হবে সেই ছাপাখানার নাম ও ঠিকানা অবশ্যই চাঁদার রসিদে থাকতে হবে৷ তাছাড়া যে পরিমান চাঁদা সংগ্রহ করা হবে চাঁদাতার কাছ থেকে সেই চাঁদার টাকার পরিমান অবশ্যই রসিদ বইয়ে বানান করে এবং সংখ্যায় লেখা থাকতে হবে৷ এইসব নীতি নির্দেশিকা অমান্য করা হলে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পুজা উদ্যোক্তাদের৷