নয়াদিল্লী, ১৩ই সেপ্ঢেম্বর৷৷ কাবেরী নদীর জল বন্টনের বিষয়কে কেন্দ্র করে যে সমস্যা, তার প্ররিপ্রেক্ষিতে কর্ণাটক ও তামিলনাডুতে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়ে তা অত্যন্ত দুঃখজনক৷ এইরকম পরিস্থিতি হওয়ায় আমি ব্যক্তিগতভাবে বেদনাগ্রস্ত৷ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একথা বলেন৷ তিনি জানান, হিংসা কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারে না৷ গণতন্ত্রে সমাধন পাওয়া যায় সংযম ও পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমেই৷ এই বিরোধের সমাধান একমাত্র আইনি আওতায় করা সম্ভব৷ আইন ভাঙ্গা কোনো যুক্তিযুক্ত বিকল্প নয়৷ গত দু’দিন ধরে যে হিংসা ও অগ্ণিসংযাগের ঘটনা দেখা যাচ্ছে তাতে দরিদ্রদের এবং আমাদের জাতীয় সম্পত্তির শুধুমাত্র ক্ষতিসাধন ছাড়া আর কিছুই হচ্ছে না৷
দেশে যখন প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে, কর্ণাটক ও তামিলনাডুর মানুষ সারা দেশের মতই সবসময় সংবেদনশীলতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন৷ আমি এই দুই রাজ্যের মানুষের প্রতি সংবেদনাশীল প্রকাশের জন্য ও তাদের নাগরিক দায়িত্ব স্মরণে রাখার জন্য আহ্বান জানাই৷
আমি বিশ্বাস করি আপনার সবকিছুর উপর জাতীয় স্বার্থ ও জাতিগঠনকে স্থন দেবেন এবং সংযম, সম্প্রীতিকে অগ্রাধিকার দেবেন ও হিংসা, ধবংস ততা অগ্ণিসংযোগ পরিহার করে শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজবেন৷ এদিকে, কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ভেঙ্কাইয়া নাইডু এক বার্তায় বলেন, ‘তামিলনাডুকে কাবেরী নদীর জল দেওয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেশী দুই রাজ্য কর্ণাটক ও তামিলনাডুতে যে হিংসা তা অত্যন্ত বিশৃঙ্খলাপূর্ণ৷ এই হিংসা কোনভাবেই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে না৷ হিংসা ও সম্পত্তি ধবংস শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের জীবনেই প্রভাব ফেলে৷ কর্ণাটক ও তামিলনাডুর দু’রাজ্যেরই বহু মানুষ একে অন্যের রাজ্যে বসবাস করছেন এবং তাদের বসবাসের পছন্দের রাজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদানও রাখছেন৷ তাঁদেরকে নিরাপত্তাহীন বলে মনে করতে দেওয়া উচিত নয়, কেননা দেশের মধ্যে নিজেদের পছন্দের স্থানে বসবাস করতে পারা প্রত্যেক নাগরিকেরই সাংবিধানিক অধিকার৷
হিংসা ও প্রতিহিংসা বিষয়টিকে আর জটিল করে তুলে এবং তা কোনো রাজ্যেরই স্বার্থে নয়৷ দুই রাজ্যের সরকারকেই হিংসা দমনে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করনেত হবে৷
আমি দুই রাজ্যের জনগণকে শান্তি ও স্বাভাবিক অবস্থা সুনিশ্চিত করতে দ্রুত সহযোগিতা করার জন্য একান্ত অনুরোধ জানাচ্ছি৷ আমি উভয় রাজ্যের সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলির নেতাদের কাছেও হিংসা বন্ধে ও অন্য রাজ্যের মানুষের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি৷ আমি এই দুই রাজ্যের সংশ্লিষ্ট সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে সংযম বজায় রাখতে সংবাদ- মাধ্যমকে অনুরোধ করছি৷ দৃশ্য-প্রচার ও অন্যভাবে এই ধরণের ঘটনাকে অহেতুক বেশি গুরুত্ব দেওয়া অবশ্যই আরও হিংসার উদ্রেক করবে৷ আমি আশা করি সংবাদ-মাধ্যম এই দুই রাজ্যে শান্তি ও স্বাভাবিক পরিস্থিতি সুনিশ্চিত করতে গঠনমূলক ভূমিকা গ্রহণ করবে৷