জলপাইগুড়ি, ৮ সেপ্টেম্বর (হি.স): মুখ্যমন্ত্রী জার্মানিতে বি এম ডব্লিউ-এর ফ্যাক্টরিতে গিয়ে যখন এই রাজ্যে গাড়ি তৈরির জন্য তাদের আহ্বান করছেন| তখন এই রাজ্যের ক্ষুদ্র চা চাষীরা নিজেদের তৈরি চা রাশিয়ায় আন্তজার্তিক ফুড মেলায় প্রদর্শনী এবং বিক্রির বাজার ধরতে যাচ্ছেন চলতি সপ্তাহেই| এবার বড় চা বাগানের পর এই প্রথম ক্ষুদ্র চা বাগানের পাতা থেকে তৈরি চা রাশিয়ায় বাজারজাত করতে রাশিয়া যাচ্ছেন ক্ষুদ্র চা চাষীরা| রাজ্যের মধ্যে একমাত্র জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়িতে ক্ষুদ্র চা চাষীদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর অধীনে ৩ টি বটলীফ ফ্যাক্টরিতে তৈরি চা (মেড টী)| রাশিয়া যাচ্ছে আন্তজার্তিক বাজারে বাজারজাত করতে| ১২ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর রাশিয়া ফেডারেশনের উদ্যোগে মস্কোতে ওয়ার্ল্ড ফুড মস্কোতে অংশ নিতে ক্ষুদ্র চা চাষীদের কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান স্মল টী গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (সিস্টার) এই রাজ্যের ৬ জন ক্ষুদ্র চা চাষী এই আন্তজার্তিক ফুড মেলায় যোগ দিতে যাচ্ছেন চায়ের পসরা নিয়ে| সিস্টার সর্বভারতীয় সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী জানিয়েছেন, দেশে ২০১৫-১৬ সালে শুধুমাত্র রাশিয়াতেই ৪৮ মিলিয়ন কেজি চা রপ্তানি হয়েছিল| যার কেজি প্রতি মূল্য ১৩৯ টাকা করে দাম পেয়েছেন| তবে দেশের প্রথম ক্ষুদ্র চা চাষীদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি জলপাইগুড়ি ময়নাগুড়ি ব্লকে পানবাড়ি, জয় জল্পেশ এবং নবজাগর নামে এই তিনটি বটলীফ ফ্যাক্টরি তৈরি হয়| সেখানে ক্ষুদ্র চা বাগানের কাঁচা পাতা থেকে চা তৈরি হয়| সিস্টার কোষাধ্যক্ষ রজত কার্জি জানান, এই ৩ টি ক্ষুদ্র স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বটলীফ ফ্যাক্টরি থেকে ৬ কেজি করে মোট ১৮ কেজি সিটিসি চা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে| আসামের ক্ষুদ্র চা চাষীদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বটলীফ ফ্যাক্টরিতে উত্পাদিত গ্রীন টী নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মস্কোতে| বিভিন্ন আন্তজার্তিক ক্রেতাদের মধ্যে ৫০ গ্রামের চায়ের নমুনা প্যাকেট বিলি করা হবে|