গাজোল ব্লকের মাঝরা গ্রাম পঞ্চায়েত দখল নিল তৃণমূল

মালদা, ৭ সপ্টেম্বর (হি.স): গাজোল ব্লকের মাঝরা গ্রাম পঞ্চায়েত দখল নিল তৃণমূল কংগ্রেস| বাম ও কংগ্রেস জোটের দখলে থাকা tmcএই গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম দলের প্রধানের বিরুদ্ধে গত ২৮ আগস্ট অনাস্থা এনেছিল তৃণমূল| আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিকেলে অনাস্থা প্রস্তাব পাশের মাধ্যমেই বাম দুর্গ মাঝরা গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করলো তৃণমূল কংগ্রেস| ৱুধবার গাজোলের তৃণমূল দলের বিধায়ক দিপালী বিশ্বাস জানিয়েছেন, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান গঠনের ব্যাপারে একটি সভা হবে| সেখানেই দলীয় সদস্যদের নির্বাচনের মাধ্যমেই প্রধান গঠন করা হবে| উল্লেখ্য, মাঝরা গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ১৭টি আসন রয়েছে| কয়েক মাস আগে এক পঞ্চায়েত সদস্য মারা যাওয়ায় বর্তমানে সদস্য সংখ্যা রয়েছেন ১৬ জন| এরমধ্যে বামেদের রয়েছে ১০ জন, কংগ্রেসের ৩ জন এবং তৃণমূলের ৩ জন সদস্য| গত আগস্ট মাসে বামদল ছেড়ে ৯ জন এবং কংগ্রেস ছেড়ে ১ জন সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন| তাতেই জোটের দখলে থাকা পঞ্চায়েত সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে ফেলে| দলত্যাগী ওই ১০ জন সদস্য ২৮ আগস্ট সিপিএম পঞ্চায়েত প্রধান কিস্কুর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে বিডিওকে চিঠি দেন| তারই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিকেলে পঞ্চায়েতে তলবি বসে| আর সেই তলবি সভায় প্রধানের বিরুদ্ধে তৃণমূলের আনা অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হয়ে যায়| এদিন দলত্যাগী সদস্যদের নেতৃত্বে থাকা বিধায়ক দিপালী বিশ্বাসের স্বামী তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা রঞ্জিত্ বিশ্বাস জানিয়েছেন, সিপিএম প্রধানের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি এবং উন্নয়ণমূলক কাজকর্ম নিয়ে অসতোষ তৈরি হয়েছিল দলত্যাগী বাম ও কংগ্রেস পঞ্চায়েত সদস্যদের মধ্যে| তাই তারা সিপিএম প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে অপসারমের দাবী তুলেছিলেন| সেই পরিপ্রেক্ষিতে ব্লক প্রশাসন মঙ্গলবার অনাস্থা ডাকে| সেই সভাতেই তৃণমূলের অনাস্থা পাশ হয়ে যাওয়ায় সিপিএম প্রধানের পদ খারিজ হয়ে গিয়েছে| এলাকার উন্নয়ণের স্বার্থেই বাম এবং কংগ্রেসের নির্বাচিত সদস্যরা তৃণমূলে যোগদান করেছে| এদিকে সিপিএম বিধায়ক তথা জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য খগেন মুর্মু জানিয়েছেন, ভয়ভীতি এবং প্রলোভন দেখিয়ে শাসকদল তৃণমূল নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যদের দলে টানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে| মাঝরা গ্রাম পঞ্চায়েতের যে কজন বাম সদস্য দলত্যাগ করেছেন তার বিরুদ্ধে জেলা নেতৃত্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে|