মালদা, ৩১ আগস্ট (হি.স): গঙ্গার ভাঙনে ভিটেমাটি হারানো বিজেপি বিধায়ক স্বাধীন সরকারকে ফোন করে খোঁজ খবর
নিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়| গত ২৯ আগস্ট সকাল ১১টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী নিজে বিধায়কের মোবাইলে ফোন করে তার খোঁজ খবর নেন| মুখ্যমন্ত্রীর ফোন পেয়ে আপ্লুত বিজেপি বিধায়ক স্বাধীন সরকার | তিনি বলেন, আমি মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছি এলাকায় আরও ত্রাণ সামগ্রীর প্রয়োজন| তিনি আশ্বাস দিয়েছেন|
এদিকে কালিয়াচক ৩ ব্লকের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ার লক্ষনই দেখা যাচ্ছে না| মঙ্গলবার থেকে শোভাপুর-পারদেওনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পারলালপুর হাইস্কুলও জলে ডুবে গিয়েছে| এই স্কুলেই আশ্রয় নিয়েছিলেন ভাঙন ও বন্যা দুর্গতরা| প্রায় ২০০ পরিবার এই স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিলেন| সেখানে তাদের রান্না করা খাবার দিচ্ছিল প্রশাসন এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা| কিন্তু ওই স্কুলের চারপাশে জল হয়ে যাওয়ায় বন্যার্ত মানুষদের ত্রাণের খাবার দেওয়া নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে| বুধবার সেখানে গিয়ে দেখা যায় স্কুলবাড়ি ছেড়ে রাস্তার ওপর দুর্গত মানুষেরা রান্না করা খাবার খাচ্ছেন| সেখানেই দেখা গেল দুর্গত মানুষদের পাশে দুপুরের খাবার সারছেন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক স্বাধীন সরকার| তার বাড়িও গঙ্গার ভাঙনে তলিয়ে গিয়েছে|
বিজেপি বিধায়ক বলেন, ভাঙনে আমার ৩৫ বছরের পুরনো পৈত্রিক ভিটে গঙ্গার ভাঙনে তলিয়ে গিয়েছে| আমরা দুই ভাই সহ বাবা-মা আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি| আমি নিজেই বন্ধুর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি| কিন্তু বন্ধুর বাড়িতে থাকতে পারছি না| দুর্গত মানুষদের একা ফেলে কি করে থাকব| তাই ওদের সঙ্গে বিননগর হাইস্কুলে রাত কাটাচ্ছি| এখানকার পরিস্থিতি খুবই খারাপ| একদিকে গঙ্গার ভাঙন তার ওপর বন্যা| দুটোর মাঝে পড়েছে কয়েকশো পরিবার| বিধায়ক আরও বলেন, প্রশাসন থেকে ১৮ কু্যইন্ট্যাল চাল-ডাল দেওয়া হয়েছিল তা দিয়ে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত রান্না করা খাবার খেয়েছেন দুর্গত মানুষেরা| কিন্তু তারপর থেকে প্রশাসন (কুক-ফুড) রান্না করা খাবার দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে| ২৯ আগস্ট সকাল ১১টা নাগাদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে ফোন করেছিলেন| আমি অবাকই হয়েছিলাম| আমার খোঁজ খবর নিচ্ছেন এটা আমার কাছে ভালো লেগেছে| আমি তাঁকে বলেছিলাম দুর্গত মানুষেরা ত্রাণ সামগ্রী পাচ্ছেন না| মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন বিষয়টি তিনি দেখবেন|
এদিকে বন্যা এবং ভাঙন পরিস্থিতি খুব শীঘ্রই উন্নতি হবে বলে জানিয়েছে সেচ দপ্তর| সেচ দপ্তরের মালদার নিবাহী বাস্তুকার অমরেশ কুমার সিং বলেন, গঙ্গার জলস্তর কমছে| তবে এখনও চরম বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে গঙ্গা| উত্তরপ্রদেশ, বিহারের গঙ্গার জল কমতে শুরু করেছে| ফলে মালদাতেও গঙ্গার জল কমতে শুরু করেছে|
2016-09-01
