নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৯ আগস্ট৷৷ কৈলাসহরের চন্ডীপুর ব্লকের ধনবিলাসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে এক মহিলাকে ধর্ষণের ঘটনাকে পঁুজি করে বিজেপি ঘোলা জলে মাছ শিকার করার চেষ্টা করছে৷ এনিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর চরমে পৌঁছেছে৷
ঊনকোটি জেলার কৈলাসহর মহকুমার বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণের ঘটনা একের পর এক বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে৷ কৈলাসহরের চন্ডীপুর ব্লকের ভাগ্যপুর গাঁও সভায় তিন সন্তানের জননী ধর্ষিতা হয়েছে৷ মহিলা মনসামঙ্গল পঁুথি পড়ে বাড়িতে ফিরছিলেন৷ তখন রাত প্রায় একটা৷ মহিলাকে একা পেয়ে প্রতিবেশী কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্র আটক করে ধর্ষণ করে৷ পরদিন মহিলার বাড়িতে আসে নিপেশ মালাকার নামে এক যুবক৷ সে ঘটনার সুষ্ঠু মীমাংসা করে দেবে বলে জানায়৷ বিনিময়ে তার সঙ্গেও যৌন মিলন করতে হবে বলে জানায়৷ ধর্ষিতা মহিলা তাতে তীব্র আপত্তি জানান৷ মহিলার ঘরের ভিতরেই ওই পাষন্ড তাকে ঝাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে৷ মহিলা চিৎকার করলে সে পালিয়ে যায়৷ মহিলা নাকি বিজেপি দলের সমর্থক৷ ঘটনার খবর পেয়ে বিজেপি নেতারা মহিলার বাড়িতে ছুটে যান৷ তারাও রাজনৈতিক নগ্ণ খেলায় মত্ত হয়ে উঠেন বলে অভিযোগ৷ মহিলাকে বিজেপির অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়৷ তাকে পরামর্শ দেওয়া হয় ঘটনায় জড়িত দুজনের সঙ্গে আরো দুজন সিপিএমের প্রভাবশালী নেতার নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করার জন্য৷ বিজেপি নেতারাই নাকি এফআইআর এর জন্য আবেদনপত্র লিখে মহিলার স্বাক্ষর সংগ্রহ করে মহিলাকে দিয়ে থানায় পাঠান৷ মামলাটি কৈলাসহর মহিলা থানা থেকে আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়৷ আদালত ১৬৪ ধারায় মহিলার জবানবন্দী রেকর্ড করেছে৷ পুলিশ অভিযুক্ত ৪জনকেই খঁুজছে৷
এদিকে, শাসকদলের নেতা পরিমল শীল এব্যাপারে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, তিনি এবং অপর নেতা মহিতোষ দাস কোনভাবেই ঘটনায় জড়িত নন৷ বিজেপি দল ষড়যন্ত্র করে মহিলাকে দিয়ে তাদেরকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে৷ মহিলা নাকি নিজেই এব্যাপারে অনেকের কাছে এব্যাপারে অনুশোচনা করেছেন বলেও পরিমলবাবু জানান৷
মহিলাদের জন্য আইনী অধিকারের দরজা যথেচ্ছ পরিমাণে খুলে দেওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একাংশ মহিলা এই আইনের মারাত্মক অপব্যবহার করে চলেছেন৷ মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে বহু পুরুষকে আদালতের কাঠগড়ায় এমনকি শাস্তি পেতে বাধ্য করা হচ্ছে৷