নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ আগষ্ট৷৷ যতনবাড়িতে শিশু পুত্রের খাবার খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার জেরে অগ্ণিদগ্দ হয়েছেন গৃহবধূ৷ অগ্ণিদগ্দ গৃহবধূ বর্তমানে জি বি হাসপাতালে জীবন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন৷ তার নাম সুপ্রিয়া দাস৷
অমরপুর মহকুমার যতনবাড়িতে অগ্ণিদগ্দ হয়েছেন এক গৃহবধূ৷ তার নাম সুপ্রিয়া দাস৷ তার স্বামীর নাম শংকর দাস৷ জানা গিয়েছে, তাদের এগার মাসের এক পুত্র সন্তান রয়েছে৷ শিশুপুত্রকে খাবার খাওয়াতে গেলে সে খাবার খাচ্ছিল না৷ শুধুই কাঁদছিল৷ তখনই মা শিশুকে প্রচন্ড মারধর শুরু করেন৷ তা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না শিশুটির বাবা৷ এনিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রচন্ড বাকবিতন্ডা হয়৷ স্বামী শংকর দাস তার স্ত্রী সুপ্রিয়া দাসকে চপেটাঘাত করেন৷ এমনকি ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন বলে অভিযোগ৷ অগ্ণিদগ্দ গৃহবধূকে প্রথমে নতুনবাজার প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখান থেকে তাকে গোমতী জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়৷ শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে সেখান থেকে তাকে জি বি হাসপাতালে রেফার করা হয়৷ জি বি হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় গৃহবধূ জানায় তার স্বামী তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়৷
অবশ্য অগ্ণিদগ্দ গৃহবধূর স্বামী শংকর দাস ঘটনার দায় অস্বীকার করেছেন৷ শিশুপুত্রের খাবার নিয়ে ঝগড়ার জেরে স্ত্রী চড় মেরেছিলেন বলে তিনি জানান৷ তারপর স্ত্রী সুপ্রিয়া পাশের ঘরে গিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে স্বামীর স্পষ্টিকরণ৷এদিকে এই ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত থানায কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি৷ অগ্ণিদগ্দ গৃহবধূর স্বামী জি বি হাসপাতালে অবস্থান করে চিকিৎসার ব্যায় বহন করছেন বলে জানা গিয়েছে৷