বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে রাজ্যে নিয়ে আসা হবে পেট্রোপণ্য, দুদেশের মধ্যে মউ স্বাক্ষর

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি/আগরতলা, ১৯ আগস্ট৷৷ বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে রাজ্যে নিয়ে আসা হবে পেট্রোপণ্য৷ এবিষয়ে MOUআইওসিএল এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহাসড়ক দপ্তর বৃহস্পতিবার ঢাকায় একটি সমঝোতা পত্র (মউ) স্বাক্ষর করেছে৷ এই মউ’র ফলে মেঘালয় থেকে ত্রিপুরায় বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে এমএস, এইচএসডি, কেরোসিন এবং এলপিজিবাহী ট্রাক পাঠাতে সক্ষম হবে আইওসিএল৷ এই সুবিধার মেয়াদ চলতি বছরের সেপ্ঢেম্বরের শেষ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে৷ উভয়পক্ষ প্রয়োজনের ভিত্তিতে স্বল্পকালীন মেয়াদের জন্য এই ট্রানজিটের সুবিধা সম্প্রসারিত করতেও সম্মত হয়েছে৷
সূত্র অনুসারে জানা গেছে, মেঘালয়ে দাউকি হয়ে বাংলাদেশের পিরহাবিবুর, রহমান পয়েন্ট, রাজনগর পুলিশ পয়েন্ট, মৌলবিবাজার, সামসের নগর থেকে চাদলপুর দিয়ে মনুঘাট সীমান্ত অতিক্রম করে কৈলাসহর পর্যন্ত আসতে সক্ষম হবে পেট্রোপণ্যবাহী ট্যাঙ্কারগুলি৷ দাউকি থেকে বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে কৈলাসহর পর্যন্ত মোট দূরত্ব ১৩৬ কিলোমিটার৷ সূত্রের দাবি, প্রতি ট্যাঙ্কারে ট্রানজিট খরচ ১৭০০ দিলেও বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে পেট্রোপণ্য পাঠাতে আইওসিএলের আর্থিক দিক দিয়ে সাশ্রয় হবে৷ আইওসিএল সূত্রে জানা গেছে, রেলে করে জ্বালানি তেল পাঠাতে খরচ বেশি বহন করতে হয়৷ তার বদলে বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে পেট্রোপণ্য পাঠালে খরচ কম হয়৷ এমনকি, আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়ক দিয়ে পেট্রোপণ্য পাঠাতে যে খরচ হয় তার থেকেও কম খরচে বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে পাঠানো সম্ভব৷ ফলে, ধারণা করা হচ্ছে আইওসিএল ত্রিপুরায় পেট্রোপণ্য পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সড়কপথ অধিক ব্যবহারে আগ্রহ দেখাবে৷
উল্লেখ্য, ভারী বর্ষণ এবং ত্রিপুরা থেকে আসাম পর্যন্ত ৮নং জাতীয় সড়ক (সাবেক ৪৪নং জাতীয় সড়ক) বিপর্যস্থ অবস্থার কারণে ত্রিপুরায় পেট্রোলিয়াম জাত সামগ্রীর সরবরাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে৷
এই পরিস্থিতিতে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের পরামর্শ অনুযায়ী, বিশেষভাবে সংরক্ষিত পেট্রোলিয়াম এবং এলপিজি পরিবহন করার জন্য ত্রিপুরার অভিমুখে ইন্ডিয়ান অয়েলের লরিগুলিকে বিকল্প ঘুরপথে পাঠানো হয়েছে৷ একই সঙ্গে পরবর্তী সময়ে, পেট্রোলিয়ামজাত সামগ্রী এবং এলপিজি বুলেট বাহী লরিগুলিকে উন্মুক্ত রেলওয়ে ওয়াগনের উপর বোঝাই করেও ত্রিপুরা রাজ্যে পাঠানো হয়েছে৷ এই ব্যবস্থা ত্রিপুরা রাজ্যে সরবরাহ ব্যবস্থা তুলনামূলকভাবে সহজতর হয়েছে৷ অন্যদিকে, পরিস্থিতির মোকাবিলায় ইতিমধ্যে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ উল্লিখিত ‘মউ’-এর আওতায় বাংলাদেশ সুবিধাবলী বৃদ্ধি করার প্রশংসনীয় ব্যবস্থা হিসেবে ত্রিপুুরায় পেট্রোলিয়াম জাত সামগ্রীর সরবরাহ চিত্রকে আর উন্নততর করবে৷ উল্লিখিত ‘মউ’-এর আওতায় মেঘালয়ের দাউকি তে পেট্রোলিয়ামজাত সামগ্রীবাহী লরিগুলি বাংলাদেশের তামাবিল ও ছাতলাপুর হয়ে ত্রিপুরার কৈলাসহরের অভিমুখে এক সপ্তাহের মধ্যেই সরবরাহ করতে শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে৷