ঢাকা, ১৮ আগষ্ট৷৷ ঢাকায় আগামী ২১ আগস্ট রবিবার থেকে ভারত-বাংলাদেশ নৌ-প্রোটোকল বিষয়ক বৈঠক শুরু হচ্ছে৷ এ বৈঠক আগামী ২৪ আগস্ট পর্যন্ত চলবে৷
এবারের বৈঠক বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতের কাছে নৌ-প্রোটোকলের জন্য নির্ধারিত অর্থ বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার প্রস্তাব রাখা হবে বলে নৌপরিবন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গিয়েছে৷ জানা গিয়েছে, নৌ-প্রোটোকল চুক্তির আওতার ব্রক্ষ্মপুত্র নদ ও কুশিয়ারা নদীর নাব্যতা রক্ষার নামে ভারতের কাছে থেকে বাংলাদেশ বছরে দশ কোটি টাকা নিচ্ছে৷ কিন্তু এখাতের একটি টাকাও খরচ করছে না বিআইডব্লিউটিএ৷ এর ফলে ব্রক্ষ্মপুত্র নদ ও কুশিয়ারা নদী নৌ চলাচলের উপযোগিতা হারাচ্ছে৷ তাই বর্ষা মৌসুমে দু-একটি ভারতীয় জাহাজ চলাচল করতে পারলেও নাব্যতা সংকটের করানে শুস্ক মৌসুমে কোন জাহাজ চলাচল করতে পারছে না৷ এ নদী পথ দুটি সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় গত ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে কলকাতালার হলদিয়া বন্দর থেকে মাত্র ১১টি জাহাজ অসমের পান্ডুয়া যায়৷ কিন্তু অসমের করিমগঞ্জ একটি জাহাজ ও যায়নি৷ এ নৌপথ দুটি অচল থাকলে বাংলাদেশের নদী পথ ব্যবহার করেই কম খরচে অসমের পান্ডুয়া ও করিমগঞ্জ বন্দর ব্যবহার করে সেভেন সিস্টার্সে মালামাল পরিবহন করতে পারত ভারত৷ এ পথ দুটি সচল না থাকায় নৌপথে মালামাল বাংলাদেশের আশুগঞ্জ কন্টেইনার টার্মিনালে ট্রান্স শিপমেন্ট করে সেখান থেকে সড়ক পথে ভারতের ত্রিপুরার আগরতলা মালামাল পরিহনে ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে৷ আশুগঞ্জ কন্টেইনার টার্মিনাল ব্যবহার করে ত্রিপুরায় মালামাল নেয়ার জন্য একবার মালমাল আনলোড করে ট্রাক বা লরিতে তুলতে নির্ধারিত হারে অর্থ দিতে হবে৷ আর কাস্টমস, বিআইডব্লিউটিএ ও বাংলাদেশের সড়ক বিভাগকে প্রতি টনে১৯২ টাকা পয়সা দিতে হচ্ছে৷ উল্লেখ্য, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের পহেলা নভেম্বর ২৫ হাজার (বাংলাদেশী) টাকা নির্ধারিত করে বাংলাদেশের নদী পথ ব্যবহার করে মালামাল পরিবহনের জন্য ভারত-বাংলাদেশ নৌ-প্রোটকল চুক্তি স্বাক্ষর হয়৷ পর্যায়ক্রমে তা বেড়ে ২০০৯ সালে ১০ কোটি (বাংলাদেশী) টাকা নির্ধারন হয়৷ এই বৈঠকের ব্যাপারে বাংলাদেশের নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন নৌ- প্রোটোকলের জন্য ভারত যে অর্থ দেয় তা খুবই সামান্য৷ তাই এবারের বৈঠক ভারতের কাছে নৌ-প্রোটোকলের টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হবে বলে তিনি জানান৷
2016-08-19

