নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ আগস্ট৷৷ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার বিবেকানন্দ ময়দানে সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মিথ্যার বেসাতি করেছেন বলে অভিযোগ করেছে সিপিআইএম৷ বুধবার সিপিআইএম রাজ্য কার্য্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর বলেন, রেল নিয়ে মমতা ব্যানার্জি যা বলেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা৷ রেলের ক্ষেত্রে তার কোন ভূমিকাই ছিল না৷ বরং তিনি যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন ত্রিপুরার রেল প্রকল্প আরো দু’বছর পিছিয়ে দিয়েছেন৷ কংগ্রেস ও বিজেপি কোন সরকারেরই রেল ত্রিপুরায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে কোন অবদান নেই৷ বিজনবাবু বলেন, কেন্দ্রে যখন কংগ্রেসী সরকার তৈরি হয়েছে তখনই সাব্রুম পর্যন্ত রেলের অনুমোদন মিলেছে৷
রেল নিয়ে নাচানাচি হচ্ছে বলে মমতা ব্যানার্জি যা বলেছেন তা রাজ্যের মানুষের আনন্দ উল্লাস ও রাজ্যের জনগণকে অপমান করার সামিল বলে তিনি উল্লেখ করেন৷ পশ্চিমবঙ্গের মতো একটি বড় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এধরনের কথা শোভা পায় না বলেও তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন৷ ১৯৯২ সালে ত্রিপুরায় বামফ্রন্ট সরকার পুনপ্রতিষ্ঠিত হওয়া সম্পর্কে মমতা ব্যানার্জি যে যুক্তি দাঁড় করিয়েছেন তাও ঠিক নয়৷ তিনি বলেছেন গোপনে গোপনে কংগ্রেসের সঙ্গে আঁতাত করা হয়েছে৷ তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে উল্লেখ করেছেন বিজনবাবু৷ পশ্চিমবঙ্গে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল স্থাপন নিয়েও তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন বিজন ধর৷ মমতা ব্যানার্জি বলেছেন গত ৫ বছরে পশ্চিমবঙ্গে ৪১টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল স্থাপন করেছেন৷ এই দাবি খারিজ করে দিয়ে বিজনবাবু বলেন, যেসব সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হয়েছে সেগুলি বামফ্রন্ট সরকারের আমলেই হয়েছে৷ এবিষয়ে মমতা সত্যি কথা বলার সাহস দেখাতে পারেননি বলেও তিনি উল্লেখ করেন৷ মমতা ব্যানার্জি রাজ্যে এসে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন বলে সিপিআইএম অভিমত ব্যক্ত করেছে৷