নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৯ জুলাই৷৷ শ্লীলতাহানি এবং মারধরের অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে৷ ঘটনা বিলোনিয়া
শহর সংলগ্ণ এসবিসি নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্যারেজ টিলার মাস্টার পাড়া এলাকায়৷ গতকাল রাত প্রায় বারটা থেকে সাড়ে বারটা নাগাদ বিলোনিয়া থানার এসআই নন্দন বৈদ্য ঐ এলাকায় নিজ বাড়িতে যাচ্ছিল৷ এমন সময় এলাকার স্বামী পরিত্যাক্তা মহিলা মিলু নন্দীর বাড়িতে যায় বলে অভিযোগ৷ এবং সেখানে প্রথমে মিনু নন্দীকে শ্লীলতাহানি করে এবং পরে তার বোন সঞ্জু মল্লিক ছেলে রাজীব নন্দী এবং দোকানের কর্মচারী বিশ্বজিৎ দেকে মারধর করে বলে অভিযোগ৷ রাতে রক্তাক্ত অবস্থায় মিলু নন্দী ও বোনকে বিলোনিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ এছাড়া দোকানের কর্মচারী বিশ্বজিৎ দে কে থানায় এনে লক আপে মারধর করে বলে অভিযোগ৷ ঘটনায় বিলোনিয়া মহিলা থানার এসআই নন্দন বৈদ্যের নামে শ্লীলতাহানির মামলা করা হয়৷ যার কেইস নম্বর ৪৬/১৬, ভারতীয় দন্ডবিধির ৪৫৭, ৩৫৪, ৩২৫, এবং ৩৪ ধারায় মামলা গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করেছে মহিলা থানার পুলিশ৷ এদিকে, এসআই নন্দন বৈদ্য সমস্ত ঘটনা অস্বীকার করে মিলু নন্দী, রাজীব নন্দী, বিশ্বজিৎ দে এবং সঞ্জু মল্লিকের নামে বিলোনিয়া থানায় সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার মামলা করে৷ যার কেইস নম্বর ৬৯/১৬ ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৫৩, ৩৮৪, ৩২৫ এবং ৩৪ ধারায় মামলা গ্রহণ করে বিলোনিয়া থানা তদন্ত শুরু করেছে৷ এসআই নন্দন বৈদ্য জানায় সে ডিউটিরত অবস্থায় বাড়িতে খেতে যাচ্ছিল এমন সময় এই বাড়ির ভিতর ও সামনে লোকজনের আনাগোনা দেখে জানতে চায়৷ এমতাবস্থায় তাকে সেখানে আক্রমণ করা হয় এবং বাইকের চাবি নিয়ে গিয়ে তাকে আটকে রাখার চেষ্টা করা হয়৷ যেহেতু তার বাড়ির কাছে তাই তার ভাই, কাকা ও প্রতিবেশীরা আসে এবং ঝগড়া করে৷ এতে উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হয়৷ তার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি সম্পূর্ণ অসত্য এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত৷
এদিকে, সমস্ত ঘটনা নিয়ে বিজেপি আজ বিলোনিয়া মহিলা থানার সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে প্রতিবাদে সামিল হয় এবং থানায় ডেপুটেশান প্রদান করে৷ অবিলম্বে এসআই নন্দন বৈদ্যের গ্রেপ্তার ও মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে বিজেপি৷ বিজেপি জানায়, এর আগেও বিশ্রামগঞ্জ থানায় এই শাসক দলীয় এসআই নন্দন বৈদ্য এক উপজাতি নাবালিকাকে ধর্ষণ করে৷ গোটা ঘটনায় সমগ্র বিলোনিয়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷ চাঞ্চল্য র য়েছে পুলিশ মহলেও৷ মানুষের মতে এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের মুখ পুড়ল৷
অপরদিকে আহত মিলু নন্দী এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার ও অভিযুক্তের শাস্তি চেয়ে এসআই নন্দন বৈদ্য তার ভাই, অজয়, সুমন, জীবনবৈদ্য, কাকা বেচু ও সাধন বৈদ্যের নামে মামলা করে৷