নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ জুলাই৷৷ আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়ক নিয়ে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক পরিবহনমন্ত্রী নীতিন গডকড়ির সাথে বুধবার দেখা করেছেন রাজ্যের তিন সাংসদ৷ জিতেন্দ্র চৌধুরী, শংকর প্রসাদ দত্ত এবং ঝর্ণা দাস বৈদ্য এদিন নীতিন গডকড়ির সাথে দেখা করে ৮নং জাতীয় সড়ক (সাবেক ৪৪নং জাতীয় সড়ক) এবং ২০৮এ জাতীয় সড়কের করুণ দশার চিত্র তুলে ধরেছেন৷ বেহাল রাস্তার বেশ কিছু ছবিও নীতিন গডকড়িকে দেখিয়েছেন৷
রাজ্যের তিন সাংসদ এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বলেন, ত্রিপুরার লাইফ লাইন অচল হয়ে পড়ায় রাজ্যে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিয়েছে৷ পেট্রো পণ্য থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সবকিছুরই মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে৷
রাজ্যের তিন সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে আরো জানান, বিশেষ করে পেট্রো পণ্যের আকালের কারণে রাজ্য এক ভয়ানক পরিস্থিতির শিকার৷ দুটি জাতীয় সড়কই শীঘ্রই সংস্কার করার জোরালো দাবি জানান সাংসদরা৷ এরই পাশাপাশি রাজ্যের অন্যান্য ছয়টি জাতীয় সড়কের কাজও দ্রুত শুরু করার অনুরোধ জানান তাঁরা৷
এদিন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে অন্তত একবার লোয়ারপোয়ায় গিয়ে জাতীয় সড়কের অবস্থা সরেজমিনে দেখার জন্য অনুরোধ জানান সাংসদরা৷ জাতীয় সড়কের অবস্থার কথা শুনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি দুঃখ প্রকাশ করেছেন৷ পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ভূতল সড়ক ও মহাসড়ক পরিবহন মন্ত্রকের সচিব সঞ্জয় মিত্রকে নির্দেশ দিয়েছেন খুব তাড়াতাড়ি প্রকৌশলী বিশেষজ্ঞদের এক প্রতিনিধি দল লোয়ারপোয়াতে পাঠানোর জন্য৷ শুধু তাই নয়, কেন জাতীয় সড়ক সংস্কার করা যাচ্ছে না সে বিষয়টিও খোঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷
এদিকে, রাজ্যের মুখ্যসচিব যশপাল সিং এদিন কেন্দ্রীয় ভূতল পরিবহন সড়ক ও মহাসড়ক মন্ত্রকের সচিব সঞ্জয় মিত্র, আসামের মুখ্যসচিব ভি কে পেপারসেনিয়া এবং এনএইচআইডিসিএল’র এমডি অরুণ কুমারের সাথে জাতীয় সড়ক নিয়ে কথা বলেছেন৷ শুধু তাই নয়, তাদেরকে চিঠি পাঠিয়েও অনুরোধ জানিয়েছেন, রাজ্যের স্বার্থে জাতীয় সড়কের সংস্কারে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য৷