নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ জুলাই৷৷ ফের ধর্ষণ৷ এবারে পাঁচ বছরের এক নাবালিকা৷ ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সন্ধ্যায় ধলাই জেলার কমলপুর থানার অধীন হালাহালিতে৷ ঘটনার সাথে যুক্ত এক যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে৷ বর্তমানে ধৃত যুবক চৌদ্দদিনের জেল হাজতে গিয়েছে৷
সংবাদে প্রকাশ, হালাহালির ঐ নাবালিকাটি নিজ বাড়ি থেকে সোমবার সন্ধ্যায় নিখোঁজ হয়ে যায়৷ উদ্বিগ্ণ বাড়ির লোকজন এদিক ওদিক খোঁজাখঁুজি করেও তার কোন হদিশ পায়নি৷ বহু খোঁজাখঁুজির পর রাত নয়টা নাগাদ বাড়ি থেকে কিছু দূরে জঙ্গলে তাকে উদ্ধার করা হয়৷ পরে ঐ নাবালিকা তার মা-বাবার কাছে তার সাথে যা যা হয়েছে সবই খুলে বলে৷ ঐ নাবালিকা জানায় প্রতিবেশী গৌতম নমশুদ্র (২৩) তাকে মুখে চাপা দিয়ে বাড়ির পাশের জঙ্গলে নিয়ে যায়৷ সেখানে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে গৌতম৷ ঐ নাবালিকা চিৎকার করতে চাইলেও পারেনি৷ তার মুখে কাপড় চাপা দিয়ে রাখা হয়৷ ধর্ষণের পর গৌতম তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে যাতে ঘটনার কথা কাউকে কিছু না জানায় ঐ নাবালিক৷
নাবালিকাকে পরে নিয়ে যাওয়া হয় বিমল সিনহা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য৷ এদিকে, নির্যাতিতা শিশুর অভিভাবক কমলপুর থানায় গৌতম নমশুদ্রের বিরুদ্ধে ধর্ষণ সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করেন৷ পুলিশ মামলা নিয়েছে৷ মামলার নম্বর ৬৮/১৬৷ মামলাটি হয়েছে আইপিসি ৩৭৬ ধারা মোতাবেক এবং পস্কো আইনের ৪ ধারায়৷ পুলিশ অভিযুক্ত গৌতম নমশুদ্রকে গ্রেপ্তার করে এবং মঙ্গলবারই তাকে কমলপুর কৌর্টে সোপর্দ করা হয়েছে৷ বিচারক গৌতম নমশুদ্রকে চৌদ্দদিনের জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন৷ এদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হালাহালিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে৷
এদিকে, এক কিশোরীকে চলন্ত গাড়ীতে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে মাঝবয়সী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে৷ এই ব্যাপারে পশ্চিম মহিলা থানায় একটি এফআইআর করা হয়েছে৷ সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশালগড় থেকে ১২ বছরের মেয়েকে নিয়ে মা আগরতলার উদ্দেশ্যে আসছিলেন মঙ্গলবার দুপুরে৷ জীপটি যখন চৌমুহনী বাজার এলকায় আসে তখন জয় সরকার নামে দক্ষিণ রামনগরের বাসিন্দা ঐ জীপে উঠেন৷ জয় সরকার ঐ নির্যাতিতা কিশোরীর পাশেই বসেছিলেন৷ হাপানীয়া এলাকায় চলন্ত জীপেই ঐ কিশোরীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত চালায় জয় সরকার৷ এমনই অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতার মা৷ ঐ নাবালিকা বিষয়টি প্রথমে তার মাকে জানায়৷ সঙ্গে সঙ্গেই গাড়ির অন্যান্য যাত্রীদেরও বিষয়টি জানান ঐ মহিলা৷ অন্যান্য যাত্রীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং ক্ষুব্ধ হয়ে জয় সরকারকে পুলিশে দেওয়ার পরামর্শ দেন৷ সেই মোতাবেক ঐ মহিলা মেয়েকে নিয়ে পশ্চিম আগরতলা থানায় ছুটে যান৷ অন্যান্য যাত্রীদের সহায়তায় জয় সরকারকেও থানায় নিয়ে আসা হয়৷ সেখানে ঐ মহিলা জয় সরকারের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৫৪ ধারা মোতাবেক৷ এদিকে, অভিযুক্ত জয় সরকার জানিয়েছেন গাড়িতে প্রচন্ড ভীড় ছিল৷ তার অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়তো ঐ কিশোরীর শরীরে হাত লেগেছে৷ জয় সরকারের এই বক্তব্য পুরোপুরি মিথ্যা বলে খন্ডন করেছেন নির্যাতিতা কিশোরী ও তার মা৷
2016-07-14