বিশেষ প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি, ১৩ জুলাই৷৷ মনারচক বিদ্যুৎ প্রকল্পে গ্যাস সরবরাহ না করায় ওএনজিসিকে কড়া দাবড়ানি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ চুক্তি অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনে পর্যাপ্ত গ্যাস সময়মত সরবরাহ করার কথা ওএনজিসি’র৷ কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে পর্যাপ্ত গ্যাসের অভাবে এই প্রকল্প থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন সম্ভব হয়ে উঠছে না৷ তাতে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে নেপকো৷ এবিষয়ে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রক এবং পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ তাতে মনারচক প্রকল্পটি নিয়ে ওএনজিসি’র গ্যাস সরবরাহে তালবাহানার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আলোচনা হয়েছে৷ সূত্রের দাবি, ঐ বৈঠকে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান মনারচক গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন৷ ঐ বৈঠকে নেপকো এবং ওএনজিসি’র শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন৷ নেপকোর শীর্ষ কর্তা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের জানিয়েছেন, গ্যাস সরবরাহে ঘাটতির কারণেই মনারচক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন সম্ভব হয়ে উঠছে না৷ চুক্তি অনুযায়ী ওএনজিসির গ্যাস সরবরাহের কথা থাকলেও তারা প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারছে না৷ মনারচক সম্পর্কে সমস্ত তথ্য জানার পর কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ওএনজিসি’র কর্তাদের এক হাত নিয়েছেন বলে সূত্র অনুসারে জানা গেছে৷ গ্যাস সরবরাহের ক্ষেত্রে সমস্যা কোথায় সে বিষয়েও ওএনজিসি’র কাছে জানতে চান কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা৷ ঐ বৈঠকে ওএনজিসি’র কর্তারা বিদ্যুৎমন্ত্রী এবং পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীকে আশ্বাস দিয়েছেন শীঘ্রই মনারচক প্রকল্পে গ্যাস সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে৷ গ্যাস সরবরাহের ক্ষেত্রে যে সমস্যা রয়েছে তা শীঘ্রই সমাধান করা হবে বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের ওএনজিসির কর্তারা জানিয়েছেন৷ ফলে, ধারণা করা হচ্ছে শীঘ্রই মনারচক গ্যাস ভিত্তিক প্রকল্পের রাহুর দশা কাটতে চলেছে৷
মনারচক থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হলে উপকৃত হবে ত্রিপুরাও৷ কারণ, ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সরকার ত্রিপুরা থেকে আরো ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ক্রয় করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে৷ ত্রিপুরা সরকারও মনারচক থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের রাজ্যের শেয়ার বাংলাদেশে বিক্রি করার ক্ষেত্রে কোন আপত্তি নেই বলে জানিয়েছে৷ ফলে, মনারচক থেকে বিদ্যুতের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হলে লাভের মুখ দেখবে বিদ্যুৎ নিগম৷