গুয়াহাটি, ১২ জুলাই, (হি.স.) : ধীরে ধীরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও অধিকাংশ বিস্তীর্ণ অঞ্চল এখনও জলপ্লাবনের শিকার। এরই মধ্যে খাদ্য ও পানীয় জলের সংকটে জেরবার হাজার হাজার মানুষ। জলবাহিত রোগও ছড়াচ্ছে দ্রুত। বন্যাক্রান্ত অঞ্চলে পর্যাপ্ত বন্যাত্রাণ সামগ্রী ও ওষুধপত্র বিতরণ করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বিধায়কদের দুর্গতদের পাশে গিয়ে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে সেনা-সিআরপিএফ এবং এনডিআর-এসডিআরএফ। বিভিন্ন অঞ্চলে বিধ্বস্ত নদীবাঁধ মেরামতেও হাত দিয়েছেন সেনা ও সিআরপিএফ-এর জওয়ানরা। এরই মধ্যে নাগাল্যান্ডে বৃষ্টিপাতের দরুণ জলস্তর ফের বাড়ছে যোরহাটের ভোগদৈ নদীতে। তাই ওই নদীর ভাঙা বাঁধ দিয়ে জল ঢুকছে সংলগ্ন গ্রামাঞ্চলে। বিশেষ করে এলাকার কুড়িটি গ্রামের পরিস্থিতি এ-মুহূর্তে অতি সংকটজনক। জেলাশাসক রশ্মি অপরাঞ্জি ওই গ্রামাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগের বর্ণনা করে জানিয়েছেন ইতিমধ্যে ৪৫ হাজার হেক্টর কৃষিখেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। বন্যা দুর্গতদের জন্য বেশ কয়েকটি ত্রাণ শিবির খোলে সেগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণের খাদ্য সামগ্রী বিলি করা হয়েছে এবং হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। শিবসাগরের বৃহত্তর কোঁওরপুর মৌজার দরিকা নদীর জলে প্লাবিত করে দিয়েছে বিস্তীর্ণ অঞ্চল। মেরাপানির পরিস্থিতিও ভয়াবহ। এদিকে মধ্য অসমের মরিগাঁও জেলার ভুরাগাঁওয়ের কুপতিমারি নদীবাঁধ সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে বিনিদ্র জীবন অতিবাহিত করছেন এলাকার বিভিন্ন গ্রামের মানুষ। ওই বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় দেড় শতাধিক পরিবার। জলে ভেসে গেছে অসংখ্য গবাদি পশু।
2016-07-12

